নিজস্ব প্রতিনিধি: ট্রেনে (TRAIN) কাটা পড়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর মাথা পড়েছে এই রাজ্যের পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি সীমানায় আর দেহ পড়ে আছে ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি সীমানায়। কোন সীমানার রেল পুলিশ এই দেহকে উদ্ধার করবে, তা নিয়ে শুরু হয় ‘ফিতে মাপামাপি’। ততক্ষণ থমকে উদ্ধারকার্য। পরে সেই কাটা পড়া দেহ উদ্ধার করে ঝাড়খণ্ড রেলপুলিশ।
কার দেহ তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহটি। ঘটনা সোমবার সকাল ৯টার। কাটা পড়া দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে পুরুলিয়ার সুইসা স্টেশন এবং ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি স্টেশনের মাঝখানের এক জায়গা থেকে। কার ভাগে ‘দায়’, তা নিয়েই চলে বিস্তর আলোচনা। অবশেষে প্রায় তিন ঘণ্টা ‘হিসেব কষা’র পরে উদ্ধার করা হয় দেহ! ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে না কি লাইন পেরোতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির, তা জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, দুই রাজ্যের রেলপুলিশের (RAIL POLICE) পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল পুরুলিয়া জেলার সুইসা ফাঁড়ির পুলিশ এবং ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি থানার পুলিশ।
দু’ই রাজ্যের রেলপুলিশ এবং পুলিশের (POLICE) বক্তব্য, সীমান্তবর্তী এলাকা বলে উদ্ধারকার্যে এই অসুবিধা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার সুইসা ফাঁড়ির পুলিশ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধানের পথ দেখিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিহার থেকে খড়্গপুরে আসার পথে চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব করেছিলেন এক মহিলা। এই ঘটনা গত রবিবারের। তখন ট্রেন শালবনিতে। মেদিনীপুর স্টেশনে সেই ট্রেনটি এসে পৌঁছালে মেদিনীপুরে কর্মরত রেলপুলিশ ও রেলকর্মীর অতি তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে যান মা ও শিশুর কাছে। তাঁদের উদ্ধার করে সযত্নে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।