এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিদ্যুতের জরিমানা বহাল, পাড়ায় পাড়ায় বসন্ত বরণ বোলপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশে স্বস্তি মিলল না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েরর(Viswabharati University) ‘বিতর্কিত’ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর(VC Vidyut Chakrabarty)। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন, উপাচার্যকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিতেই হবে। গত ২১ ডিসেম্বর বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার সে নির্দেশ দেন সেটাই বহাল থাকবে। কার্যত বিচারপতি কৌশিক চন্দের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যে আবেদন করেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য সেই রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিদ্যুতের এই ধাক্কার মাঝেই খুশির হাওয়া বোলপুর(Bolpur) জুড়ে। বিদ্যুৎ বিশ্বভারতীর নিজস্ব ঐতিহ্য ‘বসন্ত উৎসব’(Basanta Utsab)র দরজা বহিরাগতদের জন্য বন্ধ করে দেওয়ায় যে তীব্র অভভিঘাত ছড়িয়ে পড়েছিল বোলপুর শহরের পাশাপাশি রাজ্য ও দেশজুড়ে তা কাটিয়ে দিতে এবার শহরের বাসিন্দারা বিশ্বভারতীর আদলে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছেন দোল পূর্ণিমার দিন অর্থাৎ ৭ মার্চ।

আরও পড়ুন Artificial Intelligence ঠেকাতে রাজ্যের ৮ সদস্যের Task Force

২০২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক দেবতোষ সিনহা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন সহকারী অধ্যাপকের মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করেন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাতে অনুমোদনও দেয়। কিন্তু এক বছর পর, অর্থাৎ ২০২২ সালে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অধ্যাপক সিনহাকে চিঠি দিয়ে কেন তিনি ওই সহকারী অধ্যাপকের ছুটি মঞ্জুর করেছিলেন, তা জানতে চান। তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনও করা হয়। এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন অধ্যাপক সিন‌হা। মামলাকারীর আবেদনের সব দিক খতিয়ে দেখে বিচারপতি কৌশিক চন্দ আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, উপাচার্যের জারি করা ওই চার্জ গঠনের নোটিস বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি উপাচার্যকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন বিদ্যুৎ। কিন্তু এদিন সেখানেও কার্যত তাঁকে ঘাড় ধাক্কা খেতে হল। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন এপ্রিল থেকেই রেশন গ্রাহকদের চোখ স্ক্যান করে আধার নম্বর যাচাই

এদিকে বিদ্যুৎ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত বসন্ত উৎসবে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার না থাকার যে ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন তার বিরুদ্ধে এবার বোলপুর শহরের বাসিন্দারাই এক গণপ্রতিবাদকে অভিনব ভাবে রূপ দিতে চলেছেন। তাঁরা শহরের নানা এলাকায় বিশ্বভারতীর ধাঁচেই দোল পূর্ণিমার ধাঁচে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছেন। শান্তিনিকেতনে(Shantiniketan) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বসন্ত উৎসব আলাদা ঐতিহ্য বহন করে। দোল পূর্ণিমার দিন তার টানে দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। সাধারণ দোলের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এই উৎসব। এখানে বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনের পড়ুয়ারা নৃত্যগীতে অংশ নেয়। শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবে রঙের ব্যবহার হয় না। শুধুমাত্র আবির খেলা হয়। মূলত বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ভিতরে আশ্রম মাঠে আয়োজিত হতো বসন্ত উৎসব। আগে পাশেই গৌড় প্রাঙ্গণে এই উৎসব করা হতো। কিন্তু দিন দিন মানুষের ভিড় বাড়তে থাকার কারণে স্থান পরিবর্তন করা হয়। তবে ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের এই বসন্ত উৎসব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে ২০২০ সাল থেকেই। যার নেপথ্যে রয়েছেন বিদ্যুৎ। কোভিডের দোহাই দিয়ে ২০২০ ও ২০২১ সালের বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেননি তিনি। ২০২২ সাল থেকে সেই উৎসবের আয়োজন করলেও সেখানে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মী ব্যতীত কারোর প্রবেশাধিকার থাকে না।

আরও পড়ুন বঙ্গ বিজেপিতে জেলা সভাপতিদের মাথায় বসছে ‘Incharger’রা

সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই এবার গণআন্দোলন তথা গণপ্রতিবাদ আয়োজিত হচ্ছে বোলপুর শহরে আর সেটাও অভিনভ পদ্ধতিতে। বোলপুর পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে শান্তিনিকেতনের আদলে আয়োজিত হতে চলেছে বসন্ত উৎসব। পাশাপাশি বোলপুরের পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু এলাকাতেও আয়োজিত হবে বসন্ত উৎসব। তার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। দোলের দিন শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসবের আনন্দে যাতে ভাটা না পড়ে সে কথা মাথায় রেখেই এমন চিন্তাভাবনা। যদিও আসল উদ্দেশ্য বিদ্যুৎকে ও গেরুয়া শিবিরকে মুখের মতো বার্তা দেওয়া। জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওযয়ার্ডের শ্যামবাটিতে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামবুনিতে, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিশন কম্পাউন্ডে, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিশুলাপট্টিতে, ১৫নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপুকুরে এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারিপট্টিতে বিশ্বভারতীর আদলে আয়োজিত হবে বসন্ত উৎসব। এছাড়াও শহরের অন্যান্য ওয়ার্ডেও পালন করা হবে সেই উৎসব। মূলত সেই সমস্ত ওয়ার্ডের বাসিন্দারাই এই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছেন।

আরও পড়ুন পরিযায়ীরা বাইরে, উপনির্বাচনে কদর বেড়েছে মহিলাদের

একইভাবে শান্তিনিকেতনের আদলে দোলের দিন সকালে ‘খোল দ্বার খোল’ গানের মধ্য দিয়ে প্রভাতফেরি, তারপরে মূল সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। শেষে ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ গানের সঙ্গে রঙের উৎসবে মেতে উঠবেন সকলে। এছাড়াও দিনভর নানান ধরনের অনুষ্ঠান হবে। শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের টানে লক্ষাধিক মানুষ বোলপুরে প্রত্যেক বছর এসে থাকেন। বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে তাঁরা প্রবেশ করতে না পারলেও বোলপুর তাদের স্বাগত জানাচ্ছে। সেই মতো প্রত্যেক ওয়ার্ডেই শুরু হয়ে গিয়েছে চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি। কোথাও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে উৎসবের জন্য অনুষ্ঠানস্থল। কোথাও রাত জেগে পাড়ার মহিলারা আলপনায় ভরিয়ে তুলছেন রাস্তাঘাট। কোথাও আবার ক্লাবঘরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে। সব মিলিয়ে বোলপুর শহর এবছর আলাদা বসন্ত উৎসব পালন করতে চলেছে।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর