নিজস্ব প্রতিনিধি: সাময়িক স্বস্তি, গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু এই স্বস্তি কতদিন বজায় থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে আইনজীবী মহলেও। কেননা তাঁর বিরুদ্ধে ৬টি মামলার তদন্ত করছে পুলিশ। তার মধ্যে আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কুরুচিকর মন্তব্যের মতো অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে। সেই সব মামলার তদন্তের স্বার্থেই তাঁকে মানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswa Bharati University) প্রাক্তন উপাচার্য(Former VC) বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে(Bidyut Chakrabarty) জিজ্ঞাসাবাদ করতে শান্তিনিকেতন থানায়(Shantiniketan PS) ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ(Police)। পাল্টা বিদ্যুৎ আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁকে যেন তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। কিন্তু বিদ্যুতের সেই আবেদন মেনে নেয়নি পুলিশ। তার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেন বিদ্যুৎ। সেখানেই তাঁর এদিন কিঞ্চিৎ স্বস্তি মিলেছে। এদিন সেই মামলা শুনানির জন্য ওঠে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারপতি জানিয়ে দেন, বিদ্যুৎকে সহযোগিতা করতে হবে তদন্তের কাজে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু পুলিশ এখনই বিদ্যুৎকে গ্রেফতার করতে পারবে না।
বিদ্যুতের এই মামলার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশের দাবি, আদালতে ধাক্কা খেয়েছেন বিদ্যুৎ। কেননা বিদ্যুতের দাবি ছিল, তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে হেনস্থা করতে এই মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে। তাই আদালত যেন মামলাগুলি খারিজ করে দেন। আদালত কিন্তু তা করেনি। বরঞ্চ বিদ্যুৎকেই নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের সঙ্গে তদন্তের কাজে সব রকমের সহযোগিতা করতে। বিদ্যুৎ এই জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু এখন আদালতের নির্দেশে সেটা আর সম্ভব হবে না। তাঁকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে।
যদিও এদিন বিদ্যুতের আইনজীবীর বক্তব্য, আদালত কার্যত বিস্মীত পুলিশের ভূমিকায়। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষের দিনই তাঁকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাও ১ দিনের নোটিসে ৫টি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। এটা করা যায় না। আদালত এদিন নির্দেশ দিয়েছে, ১৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ২০ এবং ২২ নভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ, আর সেটাও তাঁর বাড়িতে। শনিবারের মধ্যে বিদ্যুৎকে FIR’র কপি দেবে শান্তিনিকেতন থানা। সেই সঙ্গে নতুন করে নোটিস জারি করে তবেই জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। ২০ নভেম্বর ৩টি মামলা এবং ২২ নভেম্বর ২টি মামলায় বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। প্রতিটি মামলায় এক ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। আগামী ২৯ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই সঙ্গে এখনই গ্রেফতারির মতো কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।