নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে স্কুলস্তরে ইতিহাসের সিলেবাসে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ থাকলেও, সেখানে জায়গা মেলেনি নন্দীগ্রাম গণআন্দোলনের। কিন্তু এই দুই আন্দোলনই যেমন রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের অবসান ঘটানোর জন্য অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিল, ঠিক তেমনি তৃণমূলনেত্রীকে মহাকরণের মসনদেও পৌঁছে দিয়েছিল। সেই কারনেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেখানেই প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের স্কুলস্তরের সিলেবাসে সিঙ্গুরের আন্দোলন ঠাঁই পেলেও কেন জায়গা করে নিতে পারেনি নন্দীগ্রাম। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দিল। তবে হাইকোর্ট এটাও জানিয়েছে, কোন বিষয় সিলেবাসে থাকবে আর কোনটা থাকবে না, নতুন কোন বিষয় ঢুকবে আর কোনটা ঢুকবে না, সেটা আদালতের বিচার্য নয়। সেই সিলেবাস তৈরির সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষা দফতর। মামলাকারী সেখানেই যেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনলে সিলেবাস ভুক্ত করার বিষয়ে আবেদন জানান। তবে সেক্ষেত্রেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা দফতরই।
জানা গিয়েছে, যে মামলাটি এদিন হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে সেই মামলাটি দায়ের হয় ২০১৭ সালে। মামলা দায়ের করেছিলেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ মান্না। যদিও এই কয়েক বছরে এই মামলার কোনও শুনানি হয়নি বললেই চলে। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, রাজ্যে শিক্ষা দফতরের এক্তিয়ারে থাকা সব স্কুলের ইতিহাসের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসে সিঙ্গুর আন্দোলন জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু প্রায় একই সময়ে হওয়া সমগুরুত্ব সম্পন্ন নন্দীগ্রাম গণআন্দোলন কেন সিলেবাসে জায়গা পেল না? সোমবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ইতিহাসের সিলেবাসে কোন বিষয় পড়ানো হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন। সিঙ্গুর আন্দোলন থাকবে কি থাকবে না, নন্দীগ্রাম আন্দোলন থাকবে কি থাকবে না সম্পূর্ণভাবে তা বিবেচনা করবে যারা বিষয়টি দেখে। তা কখনও আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাই এই মামলা খারিজ করা হচ্ছে। তবে নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে ইতিহাসের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মামলাকারী রাজ্য শিক্ষা দফতরে আবেদন জানাতেই পারেন।