নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেশ জুড়ে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA । তারপর থেকেই বাংলার মতুয়া সমাজ কার্যত দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে । একদল কার্যত এই আইন কার্যকর হওয়ার পরে আনন্দে মেতে উঠেছেন। আর অন্যদিকে একদল কার্যত চিন্তায় পড়েছে প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে। বনগাঁ থেকে শুরু করে বসিরহাট, মালদা থেকে কোচবিহার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ। এই আবহেই অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক মহিতোষ বৈদ্য নির্দেশ দিয়েছেন, পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা হবে না।
সিএএ-র আওতায় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার জন্য একটি পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্র। মতুয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বেশ কয়েকজন সদস্য অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই পরবর্তী সরকার গঠন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।‘দেশের বৃহত্তম মতুয়া সংগঠন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ বর্তমানে দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত। একটি গোষ্ঠী বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। অন্যটি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের।
এই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতাবালা ঠাকুর বলেছেন, ‘”সিএএ নিয়ে ধোঁয়াশা এখন প্রকাশ্যে। ভোটের আগে বিজেপি তাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে।“ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সিএএ-র আওতায় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন বলে মন্তব্য করেছেন। একথায় লোকসভা নির্বাচনে আগে এই CAA নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক বিবাদ।