নিজস্ব প্রতিনিধি: হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে (Hanskhali Rape Case) গ্রেফতার করা হল আরও এক অভিযুক্তকে। শনিবার রানাঘাট থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) রঞ্জিত মল্লিক নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এই ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে এটি সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতার। ঘটনার পর থেকেই সপরিবারে ফেরার ছিল সে। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে।
শনিবার হাঁসখালি নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা-মা কে কৃষ্ণনগর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন সকাল ১১.৪৫ নাগাদ সিবিআইয়ের আধিকারিকরা গ্রামে এসে তাঁদের নিয়ে যান জিজ্ঞেসাবাদের জন্য। এরপর এই ঘটনায় তৃতীয় অভিযুক্ত রঞ্জিত মল্লিককে এদিন রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালিকে জেরা করে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে৷ এই ঘটনায় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে মামলার তৃতীয় অভিযুক্ত রঞ্জিত মল্লিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ শনিবার রঞ্জিত মল্লিককে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার খোঁজে তল্লাশিতে নেমে শুক্রবার সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল আগেই তার বাড়ি সিল করে দিয়েছিল। আগেই অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির ঘর থেকে রক্তের দাগ লেগে থাকা চাদর বাজেয়াপ্ত করেছিল তদন্তকারীরা। এরপর সিবিআইয়ের(CBI) হাতে আসে রক্তের দাগ লেগে থাকা একটা তোশক। সূত্রের খবর, সেই তোশক থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এবং ফরেনসিক দল। নমুনাগুলি নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। উল্লেখ্য নদিয়ার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে শুক্রবার দিনভর ওই এলাকায় তদন্ত চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। নির্যাতিতার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শ্মশানেও যান তাঁরা। সেখান থেকে পোড়া কাঠ সংগ্রহ করে তদন্তকারীরা। এরপরেই অপর অভিযুক্ত প্রভাকর পোদ্দারের বাড়িতে পৌঁছয় গোয়েন্দারা। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যবহৃত জামা-কাপড় এবং অন্তর্বাস নিজেদের হেফাজতে নেন গোয়েন্দারা।