নিজস্ব প্রতিনিধি: হাঁসখালি(Hanskhali) গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালির(Brojogopal Goyali) বাবা সমরেন্দু গয়ালিকে(Samarendu Goyali) মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে(Krishnanagar) যেখানে সিবিআই(CBI) আধিকারিকেরা তাঁদের অস্থায়ী ক্যাম্প খুলেছেন সেখানেই এদিন ডেকে পাঠানো হয় সমরেন্দুকে। একইসঙ্গে এদিন তলব করা হয়েছিল ব্রজ’র মাকেও। কার্যত এদিন দুইজনকেই ব্রজের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অন্তত সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি দুইজনকে আলাদা আলাদা করেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না সমরেন্দুর। অবশেষে তাঁর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকে নদিয়ার বগুলায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন সমরেন্দু। খবর পেয়ে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে তলব করেন।
সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকেরা এদিন সমরেন্দু ও তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন। প্রথমত, ব্রজ’র জন্মদিনের পার্টি সমরেন্দুর বাড়িতেই হয়েছিল কি না। দ্বিতীয়ত, পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতিতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, না কি ব্রজগোপাল নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তৃতীয়ত, ঘটনার সময় সমরেন্দু এবং তাঁর স্ত্রী কোথায় ছিলেন। চতুর্থত, মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ভোররাতে তাঁর বাড়িতে কেন গিয়েছিল। পঞ্চমত, শ্মশানে নির্যাতিতার দেহ দাহ করার সময় সেখানে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন। ষষ্ঠত, দেহ দাহ করার সময় হাঁসখালি থানার কোনও আধিকারিকের ভূমিকা ছিল কিনা। ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬ ডি, ২০১ এবং ৩৪ ধারা ও পকসো আইনের ছয় নম্বর ধারার মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই মতো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই।