নিজস্ব প্রতিনিধি: শেখ সুফিয়ান নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা, যিনি একুশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি ছিল তিনিই নন্দীগ্রামে দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। যদিও নন্দীগ্রাম থানার তদন্তে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়নি। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য ছিল রাজ্য পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটেও নাম নেই নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের। শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন সুফিয়ানের আইনজীবী। ফলে স্বভাবতই উচ্ছ্বশিত তৃণমূল। সুফিয়ানের দাবি, এটা তাঁর নৈতিক জয়।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী অশান্তিতে নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামে দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন দেবব্রত মাইতি। পরে কলকাতার হাসাপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বিজেপির দাবি ছিল ওই ব্যক্তি তাঁদের দলীয় কর্মী। যা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির দাবি ছিল দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই তদন্তকারীরা জেরাও করেন শেখ সুফিয়ান সহ স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতাদের। ওই খুনের ঘটনায় হলদিয়া মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সম্প্রতি।
তাতে শেখ সুফিয়ানের নাম নেই বলেই দাবি তাঁর আইনজীবী বিমল কুমার মাজির। তিনি শুক্রবার জানিয়েছেন, দেবব্রত মাইতি খুনের তদন্তে নেমে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল কেবলমাত্র তাঁদের নামই সিবিআই-এর চার্জশিটে রয়েছে। তাঁরা নতুন করে কারোর নাম অন্তর্ভূক্ত করেনি। তিনি আরও জানান, সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্য়ে মূল অভিযুক্ত শেখ ইমদাদুল এখনও জেল হেফাজতে। বাকি দু’জন শেখ ফতেনুর এবং শেখ মিজানুর জামিনে মুক্ত।