নিজস্ব প্রতিনিধি: এদিন সাত সকাল থেকেই পুরনিয়োগ দুর্নীতির(Municipality Recruitment Scam) মামলায় হানাদারি শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। এদিন তাঁরা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ(Firhad Hakim) হাকিমের বাড়িতে হানা দেওয়ার পাশাপাশি কল কাতা লাগোয়া কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের(Madan Mitra) বাড়িতেও হানা দেন। একই সঙ্গে রাজ্যের ১২টি পুরসভার প্রাক্তন ও বর্তমান পুরপ্রধানদের বাড়িতেও তাঁরা হানা দেন। কিন্তু এই তালিকায় হুগলি জেলার(Hooghly District) কোনও পুরপ্রধান ছিলেন না। কিন্তু এই আবহেই চাকরিপ্রার্থীরা ওই জেলার দুটি পুরসভায় হওয়া নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় সেখানকার প্রাক্তন ও বর্তমান পুর প্রধানদের জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি তুলেছে। এই দুই পুরসভা হল হুগলি-চুঁচুড়া(Hooghly Chinsurah Municipality) এবং ডানকুনি(Dankuni Municipality)।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পুরনিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা সামনেই এসেছে অয়ন শীলের মতো মাথা গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেই। সেই অয়ন গ্রেফতার হয়েছে চুঁচুড়া পুরসভা এলাকা থেকেই। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছে। রাজ্যের পুর ও নগোন্নয়ন দফতরই হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার নিয়োগ প্রক্রিয়া কয়েক বছর আগে বাতিল করেছে অস্বচ্ছতা থাকায়। কিন্তু তার কিনারা হয়নি। তাহলে সেই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় কেন সেখানকার বর্তমান ও প্রাক্তন পুর প্রধানদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে না CBI। একই ঘটনা ঘটেছে ডানকুনি পুরসভার ক্ষেত্রেও। বঞ্চিত প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় মানছে না ডানকুনি পুরসভা। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন দুই পুরসভার দুই পুরপ্রধানই।
জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। উত্তর ২৪ পরগনার একটি সংস্থা সেই কাজ করে। অভিযোগ ওঠে, উত্তীর্ণরা নন, নেতাদের হাতযশে তাঁদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়েছেন ঘুরপথে। তারপরেই শুরু হয় আন্দোলন। পরিস্থিতির চাপে রাজ্যের পুর ও নগোন্নয়ন দফতর নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ সবের মাঝেই পুরভোট আসে। নতুন বোর্ড গঠিত হয়। বিষয়টি কার্যত ধামাচাপা পড়ে যায়। অভিযোগ, এই পুরসভায় বহু ‘ভূতুড়ে’ অস্থায়ী কর্মী আছেন, যাঁরা শাসকদলের নেতাদের ফাইফরমাস খাটেন। পুরসভার কাজ না করেই বেতন পান তাঁরা। ডানকুনি পুরসভাতেও নিয়োগে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা হাই কোর্টে মামলা করেন। আদালত ১১ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় সম্প্রতি। কিন্তু সেই নির্দেশ এখনও কার্যকর করা হয়নি।