এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শান্তিনিকেতনের বিতর্কিত ফলক সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে সত্যেরই জয় হল। ঘরে বাইরে নিরন্তর সমালোচনার মুখে পড়ে শান্তিনিকেতন(Shantiniketan) থেকে বিতর্কিত ফলক সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক(Ministry of Education)। শুধু তাই নয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়(Viswa Bharati University) চত্বরে তার পরিবর্তে নতুন ফলক বসাতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তাতে কী লেখা হবে, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। নতুন ফলকে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিশ্ববিদ্যালেয়র উপাচার্যের নাম থাকবে না, সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিতর্কিত ফলক সরিয়ে দেওয়ার এই নির্দেশ দিয়েছে।

মাস দেড় আগেই UNESCO’র তরফে World Heritage Site’র তকমা দেওয়া হয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের(Kabiguru Rabindranath Tagore) স্মৃতিধন্য শান্তিনিকেতনকে। সেই স্বীকৃতির পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতীর চত্বরে মোট ৩টি ফলক বসিয়েছিল যাতে বিশ্বভারতীর আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) এবং উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম ছিল। অথচ যার জন্য এই স্বীকৃতি সেই কবিগুরুর নাম ছিল না ওই ৩টি বিতর্কিত ফলকে। যার ফলে ওই ফলক বসানো নিয়ে তীব্র বিতর্ক বেঁধে যায়। ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্বভারতী। সবার আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এই বিতর্কিত ফলক সরানোর জন্য বিশ্বভারতীকে চিঠি দেন। যদিও সেই কথা কর্ণপাত করেননি বিদ্যুৎ। মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির একাধিক নেতাও ওই বিতর্কিত ফলক সরিয়ে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু বিদ্যুৎ তাঁকের কথায় কান দেননি। ফলকে মোদি ও বিদ্যুতের নাম এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছিল যেন দেখে মনে হচ্ছিল যে UNESCO’র তরফে World Heritage Site’র তকমা তথা স্বীকৃতি যেন তাঁদেরই দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু বিদ্যুৎ সরতেই নয়া ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরেই ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি শান্তিনিকেতনেরই ছাত্র। তাই ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হানিকর বা তার ঐতিহ্যের বিরোধী তিনি কিছুই করবেন না। তবে বিতর্কিত ফল সরানো হবে কী হবে না সেই প্রসঙ্গে তিনি বল ঠেলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রের কোর্টে। এদিন সেই কেন্দ্র সরকারই ওই বিতর্কিত ফলক সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিল। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ফলকে লেখার জন্য একটি ছোটখাটো অনুচ্ছেদ পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই ইংরাজি অনুচ্ছেদটিকে বাংলা এবং হিন্দিতে অনুবাদ করা হবে। ইংরাজি, বাংলা এবং হিন্দি— তিন ভাষাতেই ওই অনুচ্ছেদ বিশ্বভারতীর নতুন ফলকে লেখা থাকবে। তেমন ভাবেই নতুন ফলক প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ইংরাজি অনুচ্ছেদটিকে বাকি দুই ভাষায় অনুবাদ এবং ফলক তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। ৬ সদস্যের ওই কমিটিতে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন বিভাগীয় প্রধান এবং ২জন ইসির সদস্য।

নতুন ফলকের জন্য কেন্দ্রের পাঠানো অনুচ্ছেদে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ছোটখাটো বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে। বলা হয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯০১ সালের গ্রামীণ বাংলায় স্থাপিত হয়েছিল। ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি অনুযায়ী সর্বজনীন মানবতার পাঠ পড়ানো হত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এখানে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের ভাবধারার বিনিময় হয়ে থাকে। রবীন্দ্রনাথের বিশ্বশান্তির ভাবনাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এবং জ্ঞানের সাধনায় সারা বিশ্বকে এক ছাতার তলায় ধরে আনা হয়েছে বিশ্বভারতীতে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুরে ফের চোট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী, হেলিকপ্টারে বসতে গিয়ে বিপত্তি

প্রচারে বেরিয়ে হিট স্ট্রোক, প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা

ভোটগ্রহণের মাঝে কেন সন্দেশখালিতে সিবিআই অভিযান, কমিশনকে নালিশ তৃণমূলের

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

দ্বিতীয় দফার জনমতও অনুকূলে থাকবে, দাবি তৃণমূলের, চাপে বিজেপি

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর