নিজস্ব প্রতিনিধি: বারবার দলের একাধিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (DILIP GHOSH)। স্পষ্ট কথার জন্য তাঁর ‘মুখে তালা’ ঝোলানোর নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন পদ্মশিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং (ARUN SINGH)। সূত্রের খবর ছিল, গেরুয়া তাঁবুর সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশেই এসেছিল ‘সেন্সর’ ফরমান। কিন্তু গোপন সেই চিঠি ফাঁস করল কে? এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব (LEADER)। এখানেও উঠে আসছে সেই আদি- নব্য দ্বন্দ্ব।
সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষকে পাঠানো চিঠি প্রকাশ হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অরুণ সিং। মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষও। প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরণের চিঠি মিডিয়াতে আসে কী করে? এর মধ্যে অনেক কিছু ভাবার আছে। তাঁর অনুমান, দলের মধ্যেই এই কাজ কেউ করেছে। অন্যদিকে ‘সেন্সর’ প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন দিলীপ। বলেন, তিনি সবদিনই সংযত। নিজের রাস্তা নিজেই তৈরি করেছেন, সেই পথেই হাঁটবেন।
চিঠি ফাঁস হওয়া নিয়ে দিলীপ ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, কেন্দ্র বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী (AMITABHA CHAKRABORTY) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (SUVENDU ADHIKARY) দিকেই। নিশানায় রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (SUKANTA MAJUMDAR)। শুভেন্দু ও সুকান্তের সঙ্গে দিলীপের আদি- নব্য এবং অভিজ্ঞ- অনভিজ্ঞ দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। দিলীপ ঘনিষ্ঠদের অনুমান, তাঁদের নেতা দিলীপ ঘোষের নামে ইচ্ছাকৃত মিথ্যে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে রাজ্য থেকে কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তার জন্যই এই চিঠি।
এদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চিঠি ফাঁসের ঘটনাকে দলীয় অনুশাসন ভঙ্গ বলেই মনে করছেন। তা নিয়ে হয়েছে একাধিক আলোচনাও। হতে পারে আভ্যন্তরীণ তদন্ত। কে বা কারা এই কাজ করেছে, তা জানতে পারলে নেওয়া হবে ব্যবস্থাও। আপাতত চিঠি ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে আবারও চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুরের সাংসদ (MP) দিলীপ ঘোষকে চিঠি পাঠিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। এই খবর প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার। চিঠি পাঠানো হয়েছিল গত সোমবার। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্বকে বারবার একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। সংবাদমাধ্যমেও একাধিকবার নিশানা করেছিলেন দলেরই একাধিক নেতাকে। তাই তাঁকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল দলের কারও বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না। চিঠিতে আরও লেখা, এই ধরণের রাজনৈতিক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্যে দলের নেতা ও দল অস্বস্তিতে পড়ে।