এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দিল্লি থেকে এল চিঠি, তবুও টাকার দেখা নাই

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে চলতি বছরের অক্টোবর মাসের গোড়ায় তৃণমূলের(TMC) সমস্ত সাংসদকে নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন বাংলার শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেই সময় দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা না করায় পরে কলকাতায় ফিরে রাজভবনের গেটে ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক। তারপর পুজো কেটেছে। কালীপুজোও গেছে। শেষমেশ ভাইফোঁটার দিন চিঠি এল দিল্লির। তাও সেই চিঠি অভিষেকের কাছে আসেনি। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক(Ministry of Rural Development) চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে। যদিও বাংলার বকেয়া টাকা কবে দেবে কেন্দ্র সেকথা চিঠিতে বিন্দুমাত্র লেখা হয়নি।

নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, কেন্দ্র যে চিঠি পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের ৬ তারিখ রাজ্য সরকার একটা অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার(PMGAY) রূপায়ণ নিয়ে। সেই রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করতে মার্চের ২৭ তারিখ বাংলায় কেন্দ্রের টিম এসেছিল। সেই টিম রাজ্যের ৩টি জেলায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে অসঙ্গতি পেয়েছে। নদিয়া জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা ঠিকমতো হয়নি। যাদের মোটরসাইকেল বা দু-চাকা তাদেরও উপভোক্তা তালিকায় ঢোকানো হয়। রাজ্য সরকারি অফিসাররা উপভোক্তা তালিকা কঠোরভাবে চেক করেননি। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় টিম এসে দেখেছিল, প্রকল্পের সরকারি নাম ও লোগো বদলে দেওয়া হয়েছিল। একইউ সঙ্গে, কেন্দ্রীয় টিম কালিম্পংয়ে আবাস যোজনায় তৈরি ৭টি বাড়ি ঘুরে দেখেছিল। তার মধ্যে ৪টি বাড়িতে আবাস যোজনার লোগো লাগানো ছিল। ২টি বাড়িতে লোগো ছিল না। আর একটি বাড়িতে শহুরে আবাস যোজনার লোগো লাগানো ছিল। তা ছাড়া আবার যোজনার লোগো বাড়ির দেওয়ালে রঙ তুলি দিয়ে এঁকে দেওয়ার কথা, পরিবর্তে ফ্লেক্স সাঁটানো ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়ে কেন্দ্রীয় টিম দেখেছে আবাস যোজনার একজন উপভোক্তার আধা কাঁচা বাড়ি রয়েছে।

এ ছাড়া চিঠির শেষে বলা হয়েছে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, কালিম্পং, দার্জিলিং ও নদিয়ায় কেন্দ্রীয় টিম আরও কিছু অসঙ্গতি পেয়েছে। সেগুলি নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে বিস্তারিত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট দিতে হবে। এখন এই চিঠি নিয়েই নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাংলার পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘এই চিঠি যে কেউ পড়লেই বুঝতে পারবেন যে টাকা আটকে রাখাটা স্রেফ বাহানা মাত্র। মার্চ মাসে টিম ঘুরে গেছে, তার চিঠি আসছে নভেম্বরে। তার পর বলা হচ্ছে আরও রিপোর্ট দাও। চিঠি থেকেই পরিষ্কার অসঙ্গতির কথা রাজ্যকে জানাতে কেন্দ্র সময় নিল সাড়ে ৭ সাত মাস। তিন জেলায় আবাস যোজনায় হাতেগোণা কয়েকটা অসঙ্গতি পেয়েছে কেন্দ্রের টিম। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অসঙ্গতি মাত্র ১টা। কালিম্পংয়ে ৩টে। অথচ পুরো জেলার জন্য টাকা বন্ধ! আরও বড় কথা হল, গোটা রাজ্যের জন্য আবাস যোজনায় টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের সরকার।’

প্রসঙ্গত বাংলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার খাতে কেন্দ্র সরকার ৮২০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। বাংলার ১১ লক্ষ ৩৫ হাজার পরিবারের পাকা বাড়ির জন্য কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় টাকা সার কথা। সেই প্রকল্পেই রাজ্য সরকারের তরফেও সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু রাজ্য সরকার তার ভাগের টাকা চুকিয়ে দিলেও, কেন্দ্র সরকার তাদের ভাগের টাকা এখনও দেয়নি। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে তাঁরা সেই টাকা আটকে রেখে দিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালি কাণ্ডের কিনারায় এখন শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরই মূল ভরসা সিবিআইয়ের?

মালদায় নির্বাচনী প্রচারে খগেন মুর্মুকে গরু – ভেড়ার সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ হাকিম

নাম বিভ্রাটের জেরে নিরাপরাধ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে আদালতে এনে বাড়ি পৌঁছে দিল পুলিশ

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কোথাও পুলিশ লাগালো গাছ, কোথাও আবার ডিউটির ফাঁকে করলেন রক্তদান

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে শান্তিপুরে ব্যাঙের বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা

কৃষ্ণনগরের দর্জি তাক লাগিয়ে দিলেন ১৪৪ বর্গফুটের লুডো তৈরি করে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর