নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দননগর: শনিবার থেকেই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজার ভিড় সামলাতে শহরে ঢোকার বিভিন্ন এন্ট্রি পয়েন্টে দুপুর তিনটা থেকে নো – এন্ট্রি করল পুলিশ। এর আগে ষষ্ঠী থেকে এই নো -এন্ট্রি করত প্রশাসন। এবার পঞ্চমী থেকে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ করল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। এদিকে পুলিশের এন্ট্রি পাস বিলিকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রয়োজন মত পাস না পেয়ে শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে আইনজীবীরা। সাত দিন টানা চুঁচুড়া আদালতে(Chuchura Court) কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আইনজীবীরা। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার যেহেতু ষষ্ঠী ও সপ্তমী তিথি একই দিনে পড়েছে ,তাই তারা শহরের রাস্তায় দর্শনার্থীদের ঢল সামলাতে শনিবার থেকেই বিকেল তিনটের পর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ্য হয়েছে।
এমনকি প্রয়োজন হলে সকালেও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এই বিধি নিষেধ দ্বাদশীর সকাল পর্যন্ত বলবত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার পঞ্চমীর রাতেই চন্দননগরে মন্ডপে মন্ডপে জনতার ঢল নামতে শুরু করে। আবহাওয়ার পূর্বা বাস অনুযায়ী দুর্যোগ বঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছে। তাই ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে ওঠা চন্দননগর জনতার জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। গোটা শহর জুড়ে আলোর খেলা দেখতে ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় চন্দননগর থানার সামনে স্ট্যান্ডে আয়োজিত পুলিশের তরফে পুজো গাইড ম্যাপ (Guide Map)উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার(CP) অমিত জাভাল গি জানান পুজোর ক’ দিন সমস্ত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তিনি জানান ,জি টি রোড ও দিল্লি রোড থেকে শহরে ঢোকার মুখগুলি ছাড়া বেশিরভাগ নো – এন্ট্রি জোনে ঘুরপথে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ছট পুজোয় গঙ্গার পথে যাওয়া পুনার্থীদের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল থাকছে।
এদিকে পঞ্চমীর রাত থেকেই চন্দননগরে আড়াই হাজার পুলিশকর্মী ভিড় সামলাতে রাস্তায় নেমেছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ৭০০ হোম গার্ড বিভিন্ন পয়েন্টে ডিউটি করছে। গোটা চন্দননগর শহরের পাশাপাশি রেল স্টেশন লাগোয়া এলাকাতেও অতিরিক্ত সিসিটিভি(CCTV) লাগানো হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে পুলিশের পক্ষ থেকে জনতার ভিড়ের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।