নিজস্ব সংবাদদাতা : কথায় আছে মাটি যার হাতে লেগে সেই মাটির গন্ধ ভাল বোঝে। সংগ্রাম করতে করতে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন তিনি। ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে গোটা রাজ্য। এরমধ্যেই সবার দূর্দশার কথা শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাথেও কথা বলেছেন তিনি। আশ্বাসও দিয়েছেন। সকলের অভিযোগ অভাবের কথাও শুনেছেন। গৃহকন্যা থেকে বাইরের কাজ, প্রশাসনিক কাজ সবেতেই পটু তিনি।নারীশক্তির নানান প্রতিভাও দেখিয়েছেন তিনি।
এটাই প্রথমবার নয় বারবার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনো চা বাগানে,কখনো বা দিনমজুরদের পাশে কখনো বা সমাজের,দলিত নিপীড়িত ও আদিবাসী সমাজের পাশে। আজও তাঁর ব্যাতিক্রমী হল না। দুর্যোগের শিকার জলপাইগুড়িতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে রাতেই জলপাইগুড়ি ছুটে যান তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরেও দেখেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
শুধু তাই নয় নিজের হাতে চা করে খাওয়ান সকলকে। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে খুব খুশি স্থানীয়রা। কোন রেস্টুরেন্ট নয় বরং রাস্তার পাশে থাকা সাধারণ চায়ের দোকানে ঢুকে নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়ান সকলকে। সেইসঙ্গে সকলকে কাছে নিয়ে পাশে থাকার স্বাত্তনা দেন তিনি। গ্রামবাসীদের রাস্তা ও জল সংক্রান্ত সমস্যাও শোনেন মন দিয়ে এবং দ্রুত সমাধান করা হবে জানান তিনি। কোন গাড়িতে নয় বরং পায়ে হেঁটেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে পা মেলান তিনি। জনসাধারনের নেত্রী হয়ে ওঠা বোধহয় অতটাও সহজ নয় যদি না মানুষের সেই জায়গাটার সঙ্গে নিজেকে মেলানো না যায়। হৃদয়ের বন্ধন হয়তো একেই বলে। কোন অহংকার ছাড়াই সবার সাথে জনসংযোগ গড়ে তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।