এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেমন হবে ১ সেপ্টেম্বরের মহামিছিল, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি: শারদোৎসবের  (DURGA PUJA) ১ মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে এবছরের দুর্গোৎসব, এই কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। জানিয়েছিলেন, বাংলা দুর্গাপুজোর ‘হেরিটেজ’ সম্মান পাওয়ার আনন্দে  আয়োজন করা হবে মহা মিছিলের। সেই মিছিল কেমন হবে, সোমবার তাও জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর পুজো কমিটিগুলির (PUJA COMMITTEE) সঙ্গে সভা করার পরেই কার্নিভাল উপলক্ষ্যে রেড রোড পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস।

এদিন পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মহা মিছিল আসলে দেবীবরণ। সারা বিশ্বের কাছে বাংলার গৌরবের তুলে ধরার মিছিল। পদযাত্রা হবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত। দুপুর ২ টো থেকে শুরু হবে পদযাত্রা। ১ টার মধ্যে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে কলকাতার সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে জমায়েত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

মিছিলের একদম সামনে ধরা হবে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ব্যানার। সেই ব্যানার হবে প্রতিমার কাঠামোর আদলে। বিভিন্ন পুজো কমিটি বিশেষ বিশেষ ভাবে পদযাত্রায় অংশ নেবে। কোনও পুজো কমিটির শাঁখ, আবার কোনও পুজো কমিটি উলুধ্বনি দেবে। এভাবেই থাকবে বাঁশি, রঙিন ছাতা, ব্যান্ড। পদযাত্রাকে ‘উজ্জ্বল’ করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে বাংলার এই ঐতিহ্য বহনকারী পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করার। উল্লেখ্য, পুজো কমিটি গুলির কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, এই পদযাত্রায় বিপুল সংখ্যক মানুষকে শামিল করার। সমগ্র মিছিলের দায়িত্বে থাকবে কলকাতা পুজো ফোরাম। সমস্ত উদ্যোক্তাদের আলাদা আলাদা ব্যানার আনার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা পুজো ফোরাম এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন মা দুর্গার প্রতিমা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই প্রতিমা দিয়েই বরণ করা হবে ইউনেস্কোর (UNESCO) প্রতিনিধিদের।

মিছিলের পরে হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, মিছিল শুরুর আগেই বিভিন্ন দফতর ও স্কুলগুলিকে ছুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য। যাতে সকলে অংশগ্রহণ করতে পারেন এই অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে আসন থাকবে প্রায় ২০ হাজার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। রাজ্যের ভবিষ্যৎ বর্তমানের শিক্ষার্থীরা। তাই এই গর্বের অনুষ্ঠানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ করার বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন তিনি বলেন, পুজোর প্রস্তুতি শুরু করতে হবে অনেক আগে থেকেই। এবারে বাংলার পুজো দেখতে আসবেন অনেক বিদেশি। পুজোর প্রস্তুতি দেখতে আগামী ২১,২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর আসবেন বিদেশি প্রতিনিধিরা। এইদিকেও বিশেষ নজর দিতে পুজো উদ্যোক্তাদের আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, রাজ্যের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে পুজোর থিমের গান। সেই গান পাঠিয়ে দেওয়া হবে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে পুজো কমিটি গুলিকে রাজ্য সরকার অনুদান দেবে ৬০ হাজার টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় আরও ১০ হাজার টাকা বেশি।

রাজ্যের রাজধানী মহানগরের যেমন মহা মিছিল হবে, জেলায় জেলায় একই রকম মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানে রাজ্যজুড়ে মিছিল করবে প্রায় ৪০ হাজার ৯২টি পুজো কমিটি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ, অক্টোবরের ৫ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে বিসর্জনের। তিনি বলেন, জেলায় জেলায় বিসর্জন কার্নিভাল হবে ৭ তারিখ। আর কলকাতায় বিসর্জন কার্নিভাল হবে ৭ তারিখ। অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে লক্ষ্মীপুজো এবং নবী দিবস। আন্তরিকতার সঙ্গে পুজো এবং নবী দিবস উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর