নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গা পুজোর বিসর্জনের রাতে মাল নদীতে হড়পা বানের সময় যারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহু মানুষকে উদ্ধার করেছিলেন তাঁদের হাতে আর্থিক পুরস্কার ও সাহসিকতার শংসাপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান উদ্ধারকারী যুবকদের চাকরির প্রস্তাবও দেন। এদিন উদ্ধারকারী যুবক মহম্মদ মানিক-সহ আট জনের হাতে পুরস্কার হিসাবে ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধারকারী যুবকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন তিনি।
মঙ্গলবার মালবাজারে আদর্শ বিদ্যাভবন স্কুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন। এদিন সেই বৈঠকে হড়পা বানে উদ্ধারকারী ৭ যুবককে পুরস্কৃত করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মহম্মদ মানিক, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, সৌমেন চৌধুরি, দারা সিং, অমিরা মাহাতো, দীপক ভদকা-সহ ৭ যুবককে এদিন একে একে মঞ্চে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তাঁদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান কী কাজ কর্ম করেন তাঁরা। উদ্ধারকারীদের চাকরির প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে কয়েকজন উদ্ধারকারী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানান, তাঁদেরকে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই সাত জন যুবক মাল নদীতে হড়পা বানের সময় ৪৫ জনের জীবন বাঁচিয়েছে। কোথাও যদি কখনও কোনও বিপর্যয় ঘটে, তাহলে এইভাবে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা যাতে মানুষকে সাহায্য করে সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানান। তবে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতে কেউ এরকম না করেন, সে বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করেন। তিনি বলেন নিজেকেও বাঁচতে হবে।
প্রসঙ্গত বিজয়া দশমীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। হড়পা বানের জেরে মৃত্যু হয় অন্তত ৮ জনের। স্থানীয় মানুষজন, পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিকরা বহু মানুষকে উদ্ধার করেন সেদিন।