নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রার পীঠস্থান মাহেশ। পুরীর রথের মতোই প্রাচীন হুগলির মাহেশের রথযাত্রা। ঐতিহ্যবাহী এই মাহেশকেও দেশের পর্যটন মানচিত্রে স্থান করে দিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার সেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই উদ্বোধন হয়ে গেল সেই প্রকল্পের। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ভার্চুয়ালি নবরূপে সজ্জিত মাহেশের জগন্নাথ মন্দির এবং সংলগ্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি উদ্বোধন করেন।
৬২৫ বছরের প্রাচীন মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে। মূল মন্দিরসহ ভোগের ঘর, প্রসাদের ঘর, মন্দির সংলগ্ন অন্যান্য দেবদেবীর মন্দির সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ে। মন্দির সংলগ্ন জিটিরোডের ওপর সুদৃশ্য তোরণ তৈরি হয়েছে। শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায় জানিয়েছেন, মাহেশ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির মন্দির সংস্কারের কাজ চলছে। মাহেশের গঙ্গার তীরে একটি মনোরম পার্ক তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। অপরদিকে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মন্দিরের ভেতরের অংশের সংস্কার ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। নতুন করে আলোকিত করা হয়েছে মাহেশের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ মন্দির। গর্ভগৃহ, ভোগের ঘর সহ দেবতাদের মন্দিরগুলিও সংস্কার করা হয়েছে। জগন্নাথ, বলরাম, সুভ্রদা, মাসির বাড়ি হিসেবে পরিচিত মন্দিরটিও সংস্কার হয়েছে।
রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ২০১৭ সাল থেকে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আসছেন। তিনি বারেবারে মাহেশে গিয়েছেন এবং কাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। বৈঠক করেছেন হুগলির জেলাশাসক, স্থানীয় বিডিও-সহ বিধায়ক ও মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, মাহেশের মন্দির ঘিরে একটি ইকো-ট্যুরিজম পর্যটন কেন্দ্র গড়ো তোলা হচ্ছে। একটি রিসর্ট এবং অতিথিশালাও তৈরি হচ্ছে। সাতটি সুদৃশ্য কটেজ নিয়ে গড়ে উঠছে রিসর্ট। পাশাপাশি থাকছে ডরমিটরি, পিকনিক স্পট ও লোকশিল্পীদের জন্যে অনুষ্ঠানের জায়গা।