এই মুহূর্তে




কল আছে, জল নেই, এমন ৫ লক্ষ বাড়িতে ডিসেম্বরেই পৌঁছে যাবে সংযোগ

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের ৯৩ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ(Drinking Water Connection)  ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর(Public Health Engineering Department)। কিন্তু ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে এমন বহু অভিযোগ এসেছে যে পানীয় জলের কল বসে গেলেও সেই কল দিয়ে জল পড়ে না(Have Taps but no Water)। অর্থাৎ পানীয় জল প্রকল্পের সঙ্গে সেই বাড়ির কলের কোনও সংযোগই তৈরি হয়নি। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের হিসাব বলছে বাংলাজুড়ে এমন বাড়ির সংখ্যা সাড়ে ৫ লক্ষ। বিষয়টি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Mamata Banerjee) উষ্মা প্রকাশ করেছেন। জানতে চেয়েছেন, ‘কল থাকা সত্ত্বেও জল যাচ্ছে না কেন?’ এরপরেই দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের কাজে নেমে পড়েছেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের আধিকারিকেরা। কেন এমন হচ্ছে সেটা জানতে একটি সমীক্ষাও করেন তাঁরা। আর সেখানেই উঠে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। জানা গিয়েছে জল না আসার পিছনে কাজ করছে ‘জলচুরি’র(Water Theft) ঘটনা।

আরও পড়ুন, ‘মমতাদির পর একদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে অভিষেক’, শুভেচ্ছা ট্যুইট কুণালের

কল থাকলেও জল না-পাওয়ার বিস্তর অভিযোগ এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। তার জেরেই রাজ্য প্রশাসন একটি সমীক্ষা করায়। সেখানেই উঠে আসে, জলের প্রকল্পের জন্য যে পাইপের লাইন পাতা হয়েছিল সেখানে থেকেই জল টেনে নিয়ে চলছে পশুদের স্নান থেকে চাষসহ অনেক ‘অন্যায্য’ কাজ। ফলে বাড়ি বাড়ি পর্যাপ্ত পানীয় জল পৌঁছচ্ছে না। আর রাজ্যে(Bengal) এমন বাড়ির সংখ্যা সাড়ে ৫ লক্ষ। কিন্তু এই ঘটনার জেরে যারা ‘অনায্য ভাবে জলচুরি’ করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না রাজ্য সরকার। কেননা, কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রকল্পের(Jal Jeevan Mission Scheme)  টাকায় হওয়া ওইসব জল সরবরাহ প্রকল্পের সমস্যার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির কী করণীয়, তা সুনির্দিষ্টভাবে কেন্দ্র জানায়নি। এই পরিস্থিতিতে ‘জলচুরি’ রুখতে রাজ্য নিজস্ব আইন আনার কথা ভাবছে। নতুন আইন আনার বিষয়টি বিধানসভায় আগেই জানিয়েছিলেন বিভাগীয় মন্ত্রী পুলক রায়। সমস্যাটি এখন আরও বেড়েছে। তাই নতুন আইন আনতেই তৎপর হচ্ছে নবান্ন। সূত্রের খবর সংশ্লিষ্ট আইনের খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে।  

আরও পড়ুন, কোলে বসে মুখ পুড়িয়েছেন দলের, অবশেষে তদন্ত কমিটি থেকে ডাক তন্ময়কে 

২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকার সারা দেশে জল জীবন মিশন নিলেও এ রাজ্যে তা শুরু হয়েছে ২০২১ সালে। ইতিমধ্যে, টার্গেটের ৫৩.০৯ শতাংশ বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য। বাকি কাজ ২০২৫-এর মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন সংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি, রাজ্য আরও একটি কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে চলেছে, আর তা হল – Dry Connection’র সংখ্যাটা শূন্যে নামিয়ে আনা। অর্থাৎ, যেসমস্ত জায়গায় কল থাকা সত্ত্বেও মানুষ জল পাচ্ছেন না, সেখানে পর্যাপ্ত পানীয় জলের সরবরাহ সুনিশ্চিত করা। ডিসেম্বরের মধ্যেই তাই এই সাড়ে ৫ লক্ষ বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাঠানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের আধিকারিকেরা মাঠে নামছেন। কেন্দ্র সরকার তড়িঘড়ি জল জীবন মিশনের কাজ শেষ করার তাগাদা দেওয়ায় শুরুর দিকে একটি পাড়ার মুখে যে কল বা স্ট্যান্ড ছিল, সেখান থেকেই এলাকার বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু বাড়িতে পর্যাপ্ত জল যায়নি। তাই ওই সমস্ত এলাকায় জলের পাইপ পরিবর্তন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা পেয়েও কেন কাজ করাননি? বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ধমক বিডিও’র

সৎ ভাইকে গঙ্গায় ফেলে দিয়ে গা ঢাকা, অবশেষে গ্রেফতার দাদা, তোলপাড় নবদ্বীপ

সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, ডোমজুড়ে ৪ বছরের শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

পণের টাকা দিতে না পারায় লাগাতার যৌন নির্যাতন, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর বিরুদ্ধে

ঈদে ছুটির কারণে শনিবারও হবে আর্থিক লেনদেন,বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের

সঙ্ঘাতের পথ ছাড়লেন রাজ্যপাল,বাজেট অধিবেশনে পাশ হওয়া তিন বিলে ছাড় বোসের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর