নিজস্ব প্রতিনিধি: জম্মুতে সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনায় মৃত ১০ জন শ্রমিকের মধ্যে ৫ জন রয়েছেন বাংলার শ্রমিক। মৃতদের নাম যথাক্রমে যাদব রায়, ২৩ বছর বয়স। গৌতম রায়, ২২ বছর বয়স। সুধীর রায়, ৩১ বছর বয়স। দীপক রায়, ৩৩ বছর বয়স। পরিমল রায়, ৩৮ বছর বয়স। প্রশাসনের তরফে রাজ্যে মৃত ৫ শ্রমিকের দেহ ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের রামবানে সুড়ঙ্গে ধস নেমে এখনও পর্যন্ত ১০ জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৫ জন বাংলার শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে। ৫ জনই পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়চড়াবাড়ি গ্রাম থেকে ৫ জন রুটি রুজির টানে গিয়েছিলেন জম্মুতে। কিন্তু সেখানে কাজে গিয়ে সুড়ঙ্গ ধসের কারণে মৃত্যু হয় তাঁদের। নির্মীয়মাণ চার লেনের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে অনেকদিন থেকে। বৃহস্পতিবার রাতে সেই নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস থামে৷ সেই ধসে মৃত্যু হয় ১০ শ্রমিকের। সুড়ঙ্গে ধস নামার পর উদ্ধার কাজ শুরু করে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ। আইটিবিপি-র জওয়ানরা তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালিয়ে মৃত শ্রমিকদের দেহ উদ্ধার করেন। বাড়ি থেকে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন টাকা রোজগারের উদ্দেশে। রোজগারের টাকা নিয়ে ঘরে ফেরা হল না আর। ফিরবে তাঁদের কফিনবন্দি মৃতদেহ। একই গ্রামের ৫ জন শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় শোকে আচ্ছন্ন গোটা গ্রাম। এই ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান মৃত শ্রমিকের পরিবারগুলির পাশে প্রশাসন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখনও যা খবর, পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। রামবান জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ আছে। উদ্ধার হওয়া সকলেরই বাড়ি ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠি গ্রামে পঞ্চায়েতের চড়চড়াবাড়ি গ্রামে। আমরা সব রকম ভাবে পরিবারগুলোর পাশে আছি।’