নিজস্ব প্রতিনিধি: ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো সাংবাদিক, ভুয়ো পুলিশ ধরা পড়তে দেখা গিয়েছে আগেই। এবার ভুয়ো জয়েন্ট বিডিওকে পাকড়াও করতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন খোদ বিডিও। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের। অভিযোগ, ধূপগুড়ি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে ফোন করে টাকা দাবি করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ধুপগুড়ি ব্লকের প্রশাসনিক মহলে।
জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের মধ্যে একাধিক প্রধানের ফোনে একই নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন ধরতেই অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে ধূপগুড়ি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার টোপ দেয়, আর বিনিময়ে চায় মোটা অঙ্কের টাকা। ফোনে ওই ব্যক্তি জানায় কৃষি দফতরে দুজনকে ভালো অঙ্কের বেতনে চাকরি দেওয়া হবে এবং তার বিনিময়ে দুইজনকে ৩৭ হাজার টাকা ড্রাফট করতে হবে। জয়েন্ট বিডিওর নাম নিয়ে ফোন করে এমন কথা বলায় সন্দেহ দানা বাধে পঞ্চায়েত প্রধানদের। এর পর তাঁরা বিষয়টি ধূপগুড়ি ব্লকের বিডিও শঙ্খদীপ দাসকে জানান। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয় ধুপগুড়ি ব্লকের বর্তমান জয়েন্ট বিডিও পবিত্র বর্মনকেও। এর পর ব্লক প্রশাসনের তরফে ধুপগুড়ি থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ধুপগুড়ি ব্লকের বিডিও শঙ্খদীপ দাস বলেন, ‘সরকারি আধিকারিকের নাম নিয়ে কেউ এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বদনাম করার চেষ্টা করছে।বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’ ধুপগুড়ি ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মমতা রায় জানান, ‘সকালে ১১টা নাগাদ ফোন আসে একটি অচেনা নম্বর থেকে।তাতে বলা হয় কৃষি দফতরে দুজনকে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরি দেওয়া হবে এবং ৩৭৫০০ টাকা জমা করতে বলা হয়।আমাদের সন্দেহ হওয়ায় আমরা বিডিওকে জানাই।’ অন্যদিকে ব্লক প্রশাসনের তরফে লিখিত অভিযোগ পেয়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ।