নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘শূন্য’ অপবাদ ঘুচিয়ে রাজ্য বিধানসভায় ‘সবেধন নীলমনি’ পাঠাতে ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে ‘ঈশ্বরের’ শরণাপন্ন হয়েছিলেন ‘নাস্তিক’ হিসেবে খ্যাত বঙ্গ সিপিএম নেতৃত্ব। ‘ঈশ্বর’ দলকে উতরে দেবেন বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন বঙ্গ রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক ও ‘সাইনবোর্ড সর্বস্ব’ সংগঠনে পরিণত হওয়া দলের অতি বিপ্লবী নেতা মহম্মদ সেলিম-সুজন চক্রবর্তীরা। কিন্তু শুক্রবার দুপুরেই স্পষ্ট হয়ে গেল, ঈশ্বরও তলানি থেকে টেনে তুলতে পারলেন না ক্ষয়িষ্ণু সিপিএমকে। জয় কিংবা দ্বিতীয় স্থান তো দূরের কথা, জামানতও বাঁচাতে পারলেন না ঈশ্বর।
বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের অকাল প্রয়াণে গত মঙ্গলবার ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়রথ রুখতে জোট বেঁধেছিল বিজেপি দালাল সংবাদমাধ্যমের দৌলতে বঙ্গ রাজনীতিতে কোনও ক্রমে ভেসে থাকা সিপিএম এবং কংগ্রেস। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, ভাওয়াইয়া সঙ্গীত শিল্পী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে প্রার্থী করেছিলেন মহম্মদ সেলিমরা। আর সেই প্রার্থীকে সমর্থন করেছিলেন অধীর চৌধুরীরা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ ছিল, ভোট কাটাকুটি করে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস।
এদিন ভোট গণনার শুরু থেকেই স্পষ্ট হচ্ছিল, লড়াই মূলত তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ধারে কাছে নেই সিপিএমের ‘ঈশ্বর’। গননা যত এগিয়েছে, ততই লড়াই ঈশ্বর দূরে সরে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেল মহম্মদ সেলিমদের ‘ঈশ্বর’ পেয়েছেন মাত্র ১৩,৬৬৬ ভোট। সেখানে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায় পেয়েছেন ৯২ হাজার ৬৪৮ ভোট আর তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৯৬১টি ভোট। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, জামানত বাঁচানোর মতো ভোট পাননি সিপিএমের প্রার্থী। শুধু তাই নয়, সোয়া দুই বছর আগে বিধানসভা ভোটে ধূপগুড়িতে সিপিএম প্রার্থী প্রদীপ কুমার রায় পেয়েছিলেন ১৩ হাজার ১০৭টি ভোট। অর্থাৎ সোয়া দুই বছরে হারানো জমির এক ছটাক ফিরে পায়নি রাজ্যের প্রাক্তন শাসকদল।