নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু তাতে কি! আমোদে বাঙালি উল্লাসে লাগাম টানতে চাইছে না। কলকাতা তো বটেই জেলায় জেলায় ফেস্টিভ মুডে ঘুড়ছে আমবাঙালি। শুক্রবার বছরের শেষদিন, সঙ্গে সপ্তাহান্তের ছুটি। তাই বাঙালিদের ডেস্টিনেশন দিঘা। সকাল থেকেই দিঘার যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা বেশ উদ্বেগজনক। করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে দিঘার এই ভিড় চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসক মহল। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তরফে বারবার মাস্ক পরতে ও ভিড় এড়াতে বলছেন। কিন্তু কানে কথা যাচ্ছে না আমজনতার। শুধুই দিঘা নয়, শংকরপুর, মন্দারমণি বা তাজপুরের মতো সমুদ্র সৈকত কানায় কানায় ভরে উঠেছে।
দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘যশের পর যেভাবে সেজে উঠেছে দিঘা, তা বহু পর্যটকেরই নজর কাড়ছে। বর্ষশেষে এবং নতুন বছরের শুরুতেই এখানকার সব হোটেল ভর্তি। বড়দিনে কানায় কানায় ভরে উঠেছিল দিঘা। সে দিন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখানে এসেছিলেন। এ বার বছর শেষের দিনটি শুক্রবার হওয়ায় কাজ সেরে নিশ্চিন্তে তিনটে দিন ছুটি কাটাতে পারবেন অনেকে।’ যদিও এই ভিড় করোনার গতি বাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
প্রশাসনের তরফে বারবার সাবধান করা হলেও কানে কোনও কথা তুলছেন না সাধারণ মানুষ। তাই চিন্তায় চিকিৎসক মহল। সূত্রের খবর, আগামী তিনদিন দিঘায় সমস্ত হোটেল বুক রয়েছে।