নিজস্ব প্রতিনিধি: এক আধ কোটি নয়। ১৪৩ কোটি। হ্যাঁ এই টাকা ব্যয় করেই বাংলার ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার দিঘায়(Digha) তৈরি করেছে জগন্নাথ মন্দির(Jaganath Mandir)। দিঘা রেল স্টেশনের পাশেই ২০ একর জমিতে গড়ে উঠছে এই মন্দির। মন্দিরটি তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্যের Housing Infrastructure Development Corporation বা HIDCO। দিঘার এই জগন্নাথ মন্দিরের উচ্চতা হবে ৬৫ মিটার বা ২১৩ ফুট যা পুরীর মন্দিরেরই উচ্চতার সমান। মন্দিরটি বানানোর জন্য রাজস্থানের বাঁশিপাহাড় থেকে বেলে পাথর আনানো হয়েছে। এবার সামনে এল দ্রুতগতিতে শেষ করা হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ। এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে সেটি খুলেও দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের দর্শনের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে সেই মন্দির উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন ১ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তম দুয়ারে সরকার, বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের
বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগ দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কাজ শেষ হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেরও। ওই সময়েই জন সাধারণের জন্য খুলেও দেওয়া হবে মন্দিরটি। অর্থাৎ আগামী লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) আগেই খুলে যাচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন ২০১৮ সালে। হুবহু পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। দিঘায় পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের জায়গাতেই সমুদ্রের ধারে এই জগন্নাথ মন্দিরটি করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই পরে দিঘা স্টেশন সংলগ্ন ২০ একর জমি এই মন্দিরের জন্য দেয় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নে ৫৮ কোটির বরাদ্দ রাজ্যের
২০২২ সালের মে মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নির্মাণ শুরু হয় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। ঠিক এক বছর আড়াই মাস পর দিঘার মন্দির তৈরির কাজ অনেকখানি এগিয়েছে। গত ৪ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী নির্মীয়মাণ মন্দির চত্বরটি পরিদর্শন করে বলেছিলেন, ‘বিরাট একটা কর্মযজ্ঞ চলছে। হাজার হাজার বছর ধরে জগন্নাথের এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত থাকবে।’ বৃহস্পতিবার বাংলার পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানালেন, মোট ১৪৩ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরির জন্য। এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতেই খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য। এর আগে অবশ্য রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, এই মন্দির গড়তে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে ফিরহাদের দেওয়া হিসাব বলছে সেই বরাদ্দ আরও ৪৩ কোটি টাকা বেড়েছে।
