নিজস্ব প্রতিনিধি: এপার বাংলা(West Bengal) হোক কী ওপার বাংলা(Bangladesh)। দুই বাংলারই ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে ফুরফুরা শরিফ(Furfura Sharif) এক পবিত্র তীর্থস্থান। সারা বছর এই মুসলিম তীর্থে দুই বাংলার মানুষের যাতায়ার লেগে আছে। একই সঙ্গে হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া ব্লকের এই তীর্থকেন্দ্রে আসেন রাজ্য ও দেশের রাজনীতিবিদরাও। এবার সেই ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) জানিয়েছেন, হুগলির ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নকল্পে সাড়ে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে ওই অর্থ খরচ করা হবে। ফুরফুরা শরিফের গেটের পাশে যে জমি রয়েছে সেখানেই হবে উন্নয়ন পর্ষদের অফিস ও মুসাফিরখানা। যতদিন না তা গড়ে ওঠে ততদিন শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে।
আরও পড়ুন ১ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তম দুয়ারে সরকার, বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের
রাজ্যে পরিবর্তনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেন। কেননা দুই বাংলার মানুষের যেমন এখানে আগমন ঘটে তেমনি হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং মালদহ, মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে ফুরফুরার প্রভাবও রয়েছে। প্রথমে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। পরে সেই জায়গায় আনা হয় সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তকে। ফুরফুরা শরিফেরই পিরজাদা হলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। অনেকেই মনে করেছিলেন বাংলার রাজনীতিতে মমতা তথা তৃণমূল বিরোধী নওসাদের উত্থান মমতাকে ফুরফুরা বিমুখ করে তুলবে। তবে সেই হিসাব মেলেনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন তাঁর নব্জোয়ার যাত্রায় ফুরফুরায় গিয়েছিলেন তেমনি মমতার সরকারও এই তীর্থকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য অর্থ ব্যয় করতে পিছু পা হচ্ছে না।