নিজস্ব প্রতিনিধি, দিঘা: দিঘা স্টেশনের অনতি দূরে রেল লাইনে ফিসপ্লেট ও নাট বল্টু খুলে নেওয়ার গুজব সংবাদে হুলুস্থুলুশ কান্ড শনিবার দীঘা(Digha) স্টেশনে। আজ ২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার সকাল বেলায় তমলুক– দিঘা সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে লাইনের সম্পর্কে যে খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং টিভির পর্দায় প্রকাশিত হয়েছে। সেই খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো খবর। ফিস প্লেটের নাট খুলে যাওয়ার ঘটনার খবর যে সকল মিডিয়ারা করেছেন। তারা ফিসপ্লেট সম্পর্কে জানে না । আর জানারও চেষ্টা করে না বলে জানালেন, দীঘা রেলওয়ে জিআরপি(GRP) পুলিশ স্টেশনের অফিসার- ইন -চার্জ সুখেন দাস।
দীঘার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সঞ্জীব দাস মহাপাত্র বলেন,বর্তমানে ফিসপ্লেটের কোন কাজই নেই। চিপ, সিমেন্ট ও বালির কংক্রিট ঢালাইয়ের স্লিপারের উপর লোহার পাত বসানো রয়েছে। লোহার রেলপাতটিকে ধরে রাখার জন্য স্লিপারের দুদিকে Pendrole Clip অর্থাৎ চাবি রয়েছে। এই চাবি অর্থাৎ ক্লিপ গুলিকে খুলতে পারবে একমাত্র ট্রেনিংপ্রাপ্ত রেল লাইনের কর্মরত কি ম্যান এবং লাইন ম্যান। অন্য কোন পাবলিক এই ক্লিপটি খুলতে পারবে না। সঞ্জীব বাবু আর ও বলেন , আজকে সকালে রেল লাইনের কোনরূপ ঘটনা ঘটে না। আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এলাকার মানুষজনকে জিজ্ঞাসা করলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছেলেটিকে মারধর করা হয়েছে বলে দেখিয়েছেন।
সেই খবরটি কি সত্য? এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, এই ধরনের কোন ঘটনা এই এলাকায় ঘটে নাই ।মিথ্যা খবর ছড়িয়ে এলাকার মানুষজনকে বিভ্রান্ত করছে সোশ্যাল মিডিয়ার সাংবাদিকরা। দীঘা রেলস্টেশন হইতে রামনগর পর্যন্ত একজন কিম্যানএবং লাইনম্যান স্লিপারের উপর আটকানো দু’ দিকের Pandrole Clip গুলি ঠিক রয়েছে কিনা। তারা চেক করে দেখে দেখে যাবে ।আবার পুনরায় ব্যাক করে আসবে। লাইনের উপর দিয়ে যখন ট্রেন যাচ্ছে। তখন ট্রেনের কম্পনে ওই আটকানো Pandrole ক্লিপ গুলি আলগা হয়ে যায়। লাইন ম্যান তখন লোহার হাম্বর দিয়ে টাইট করে একের পর এক গন্তব্যস্থানের দিকে এগিয়ে যায়। কাজ করার সময় কিছু ক্লিপকে লাইনের একধারে খুলে রেখে যায়।
লাইনের ধারে রেখে যাওয়া ক্লিপ গুলি বাতিল। আর সেই বাতিল ক্লিপগুলিকে জড়ো করে আজকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশ মিথ্যা বিভ্রান্তকর খবর ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । রেলওয়ে আধিকারিকদের অভিযোগ আমাদের কাছে না জেনে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই মিথ্যা খবর ছড়িয়েছে। খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বিভ্রান্তকর খবর বলে জানান ,দীঘার আরপিএফ (R.P.F ) পুলিশ স্টেশনের অফিসার- ইন -চার্জ রাকেশ কিশোর।