নিজস্ব প্রতিনিধি: সৈকত সুন্দরী দিঘায় এবার কলকাতার অ্যাকোয়াটিকার ধাঁচে ‘ওয়াটার পার্ক’ গড়ে তোলার বিষয়ে উদ্যোগী হল দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। আগেই দিঘায় চিড়িয়াখানা গড়ে তোলার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে পর্ষদ। ওয়াটার পার্ক তৈরি হলে আরও বেশি পর্যটক টানতে সক্ষম হবে সৈকত সুন্দরী তা নিয়ে কোনও ধন্দ নেই ওয়াকিবহাল মহলের।
দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার অ্যাকোয়াটিকার মতো দিঘাতেও একটি ওয়াটার পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও এই পরিকল্পনা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি দিঘার ওয়াটার পার্কে রাইডের কোনও পরিকল্পনা থাকবে না বলে জানা গিয়েছে। নিকো পার্কে ওয়াটার পার্কে একাধিক রাইড রয়েছে। কিন্তু, দিঘাতে যে ওয়াটার পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেখানে কোনও রাইড থাকবে না। সৈকত সুন্দরী দিঘাকে সাজিয়ে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
উল্লেখ্য এর আগে দিঘায় মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেন্ট্রাল জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাছে তার খসড়া প্ল্যান পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে শুরু হবে প্রকল্পের কাজ। চিড়িয়াখানা চালু হলে পর্যটকরা সমুদ্রে স্নান করার পাশাপাশি চাক্ষুষ করতে পারবেন হরিণ, কুমীর, অ্যালিগেটর, শিকারী বিড়াল(fishing cat), কচ্ছপের মতো বিভিন্ন প্রাণী। মিনি চিড়িয়াখানা বানানোর জন্য দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে ইতিমধ্যে জমি দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বন দফতর দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে জমি চেয়েছিল। চিড়িয়াখানা সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনা বন দফতরের তরফে সেন্ট্রাল জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অনুমোদন মিললেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। চিড়িয়াখানার নির্মাণকাজ শুরু করার পাশাপাশি সরীসৃপ সহ অন্য পশু-পাখি নিয়ে আসার কাজ তারপর শুরু করা হবে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, প্রায় ২৩ থেকে ২৪ একর জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে দিঘায় চিড়িয়াখানা নির্মাণ করার জন্য।