নিজস্ব প্রতিনিধি: শাহি সভা সুপারডুপার ফ্লপ। দলের সাংসদই জানিয়ে দিচ্ছেন, দল ২৪’র ভোটে(General Election 2024) ৩টের বেশি আসন পাবে না। দলের বিধায়ক বলে দিচ্ছে, CAA নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছে বিজেপি(BJP)। দলের নেতা বলে দিচ্ছেন, শাহি সভার আমন্ত্রণই পাননি। আর তাই প্রশ্ন উঠছে, বঙ্গ বিজেপি এখন ঠিক কয় ভাগে বিভক্ত? দিলীপ গোষ্ঠী, সুকান্ত গোষ্ঠী, শুভেন্দু গোষ্ঠী, আদি গোষ্ঠী, তথাগত গোষ্ঠী, অমিতাভ গোষ্ঠী, রাহুল গোষ্ঠী… না জানি আরও কত কত গোষ্ঠী জন্ম নিয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। তবে যত দিন যাচ্ছে ততই প্রকট হচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দূরত্বের ছবি।
শাহি সভার আগে গত ২৮ তারিখ রাজ্য বিধানসভায় হাজির হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। সেই সময় বিধানসভায় ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন রাজ্য বিধানসভায় আসেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। সেই সময়েও রাজ্য বিধানসভায় টিকির দেখাও মেলেনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। আর এই দুই ঘটনাই বলে দিচ্ছে, শুভেন্দুর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দূরত্ব আর বিরোধ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কার্যত শুভেন্দু যেমন এদের এড়িয়ে চলছেন বলে মনে হচ্ছে তেমনি শুভেন্দুকেও এরা এড়িয়ে চলছেন বলে মনে করছেন অনেকেই। ২৮ তারিখ শুভেন্দু বিধানসভা ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে তবেই সেখানে আসেন সুকান্ত। এদিন দেখা গেল, সেই একই ছবি। শুভেন্দু বেড়িয়ে যাওয়ার পরে সেখানে এলেন দিলীপ।
কার্যত বঙ্গ বিজেপির অনেক নেতারই অভিযোগ, শুভেন্দুর জন্যই বঙ্গ বিজেপিতে এখন অনেক ডামাডোল নেমে এসেছে। দলের সংগঠন যেটুকুও বা ছিল, সেটাও ভেঙে গিয়েছে অনেকাংশেই। দলের আদি নেতা থেকে কর্মীদের দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কেউ ক্ষোভে বসে গিয়েছেন, কেউ বা দল ছেড়ে দিয়েছেন। শুভেন্দুর হাতধরে আসা তৃণমূলের নেতারা কার্যত দলটিকে হাইজ্যাক করে নিয়েছে বলেই অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির একাংশের। যদিও এই অভিযোগ তাঁরা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বঙ্গ বিজেপিতে শুভেন্দু রাজ বহালই আছে।