এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দলের নেতারা আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি, সরব দুধকুমার

নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপি(BJP) নেতৃত্বকে আবারও কাঠগড়ায় তুলে দিলেন বীরভূমের প্রাক্তন দলীয় সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল(Dudh Kumar Mondol)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বার হওয়ার পরে দলের আক্রান্ত কর্মীদের পাশে যে রাজ্য নেতৃত্ব দাঁড়াননি সে কথা প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে পুজোর মুখে আবারও জানিয়ে দিলেন দুধকুমার। তবে সঙ্গে এটা জানাতে ভোলেননি যে তিনি এখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) ভক্ত এবং দল যদি তাঁকে আবারও দায়িত্ব দেয় তাহলে কেষ্ট গড়ে দলের সংগঠন ফের শক্তিশালী করে তুলতে তিনি পিছু পা হবেন না। যদিও দুধের এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না রাজ্য বিজেপির কোনও নেতাই। বরঞ্চ তাঁরা দুধকে কটাক্ষ হানছেন ‘সুবিধাভোগী’ বলে। সেই সঙ্গে ছুঁড়ে দিচ্ছেন প্রশ্ন, ‘লড়াই করার অতই যদি মুরোদ থাকে তাহলে কেষ্ট জেলে যাওয়ার পরে কেন বলছেন? আগে কেন বলেননি?’

সোমবার বীরভূম(Birbhum) জেলার অন্যতম মহকুমা শহর রামপুরহাটে(Rampurhat) এক বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দুধকুয়াম মণ্ডল। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ক্ষোভ উগরে দেন দলের রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি। তিনি বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীরা শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু দলের নেতারা তাঁদের পাশে দাঁড়াননি। আমি মানুষের কাছে গিয়ে দেখেছি, তাঁরা খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ভয়ে ঘর থেকে রাস্তায় নামেননি। সাধারণ বিজেপি কর্মীরা চেয়েছিলেন, নেতারা পাশে দাঁড়ান। কিন্তু কেউ আসেননি, দলের আক্রান্ত কর্মীদের পাশে কেউ দাঁড়াননি। আমি দলের সমান্তরাল কোনও কর্মসূচি করছি না। আমি বিজেপির কোনও পদে নেই, কোনও দায়িত্বে নেই। দলের সমর্থক হিসেবে আমি নরেন্দ্র মোদির নীতি পছন্দ করি। তাঁর আদর্শ মেনে চলি। দল যদি দায়িত্ব দেয়, তাহলে বীরভূমে বিজেপিকে শক্তিশালী করে তুলব। বীরভূমে বিজেপির অনুর্বর মাটিকে উর্বর করে তুলব।’

ঘটনা হচ্ছে, ২০১৪ সাল থেকে দুধকুমার বীরভূমে বিজেপির জেলা সভাপতি ছিলেন। তখন তাঁর গরমাগরম ভাষণ নিয়ে বহু বিতর্ক হয়। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তিনি সমানে টক্কর দিতেন। তিন বছরের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে সভাপতি পদ ছেড়ে দিতে হয়। তারপর তিনি অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। বেশ কিছুদিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুগামীদের বসে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তারপর অনেকদিন পর বিজেপির প্রাক্তন এই দাপুটে জেলা সভাপতিকে প্রকাশ্যে দেখা গেল। আর এদিন বেশ ভালই বোঝা গিয়েছে দলের প্রতি তাঁর অভাব-অভিযোগ থাকলেও দলকে তিনি এখনও ভালবাসেন। সেই সঙ্গে এটাও সত্যি তাঁর মতন জনপ্রিয় বিজেপি নেতা এখনও বীরভূমকে দ্বিতীয় আর কেউ নেই। যদিও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তাঁর এই ব্রাত্যদশা কবে ঘুচবে তা বলা খুব কঠিন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর