নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ:আতসবাজি দিয়ে তৈরি হচ্ছে দেবী দূর্গা। প্রতিমার মাটির প্রলেপের উপর থাকছে আতসবাজির কারুকার্য। তুবড়ি, চড়কি, রকেট, চকলেট বোমা ও নাগিন আতসবাজি সহ বিভিন্ন প্রকার বাজি পটকা ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতিমার সাজে। বাজির বারুদ বার করে প্রতিমার সাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মালদহ শহরের হাটখোলা সার্বজনীন দুর্গাপূজোর মন্ডপে দেখা যাবে এই আতসবাজির দেবীদূর্গা।
শব্দদূষণ নিয়ে সচেতন করতে শিল্পীর এমন ভাবনা। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ। এই চিন্তাভাবনা থেকেই মৃৎশিল্পী সুশান্ত সরকারের এমন চিন্তা ভাবনা। আতসবাজি পোড়ানোর ফলে শব্দ দূষণের সাথে বায়ু দূষণ ব্যাপক ভাবে হয়ে থাকে।
শব্দবাজি ছাড়াও যে উৎসব হয়, সেই বার্তা দিতেই শিল্পীর এমন চিন্তা ভাবনা।
থিমের নাম ‘নিঃশব্দে আলোকের ঝর্ণা ধারা’। এই থিমের মাধ্যমে আতসবাজির ক্ষতির দিক গুলো তুলে ধরা হবে। বাজি পটকা দূর্গা প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি সচেতনতার বার্তা দিতে থাকছে বিভিন্ন মডেল। শব্দবাজি সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক গুলো তুলে ধরা হবে মডেলের মধ্যে দিয়ে। এই ধরনের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে সমাজে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নিদর্শন গড়ে তুলছে মালদহ। দুর্গা পুজোতে কলকাতা শহর মূলত কারুকার্য তে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। কিন্তু এখন জেলাগুলিতেও কোনও কোনও পূজা মন্ডপ এবং তার প্রতিমা যে নিদর্শন গড়ে তুলছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। থাকছে বাংলার শিল্প ও শিল্পীর সৃষ্টি ও কৃষ্টি। যা ভাবাবে সমাজকে সুস্থ মানসিকতা গড়ে তুলতে।