নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুর: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে স্কুলে কর্মবিরতি, বন্ধ পঠন পাঠন, শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্লাস না নেওয়ায় সিনিয়ার পড়ুয়ারা নিল ক্লাস। দুর্গাপুরের নডিহা হাইস্কুলে (Nadiha High school)মঙ্গলবার নজিরবিহীন এই ঘটনায় হতবাক সকলে।
দুর্গাপুরের(Durgapur) বুকে নজিরবিহীন এক ঘটনা। যে ঘটনার সাক্ষী রইলো দুর্গাপুরের মানুষ। বকেয়া ডিএ(DA)-র দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন যৌথ সংগ্রাম কমিটির সদস্যরা। সেই আন্দোলনকে সমর্থন করে এবার খোদ সরকারি স্কুলে শিক্ষকরা ক্লাস নেওয়া বন্ধ রাখলেন।
রীতিমতো স্কুলের ভেতর কর্মবিরতির পোস্টার(Poster) লাগিয়ে দিয়ে আন্দোলনে নামে স্কুলের ২৭ জন শিক্ষক।আর এই আন্দোলনে আবার সামিল হলো শিক্ষা সেলের দুই কর্মীও, শিক্ষা সেলের সদস্যদের প্রশ্ন , কে না চায় ডিএ? নৈতিক সমর্থন দিয়ে এই শিক্ষা সেলের সদস্যরাও ক্লাস করালেন না দুই দিন ধরে। বিড়ম্বনা এড়াতে সিনিয়ার ছাত্র ও ছাত্রীরা নিয়ে ক্লাস করলো। দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত নডিহা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই নজিরবিহীন ঘটনায় এখন স্তভিত সবাই। এইদিকে শিক্ষক শিক্ষিকারা দুই দিন ধরে ক্লাসে আসছেন না, বকেয়া ডিএর দাবিতে আন্দোলনে, এই সুযোগকে হাতছাড়া না করে, তাই পড়াশোনার বদলে নডিহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা বন্ধ রেখে দিয়ে কোন কোন ক্লাস রুমেই গানে মাতলো। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়াতে সীমাহীন দুর্নীতির ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতি এখন তোলপাড় ।কিন্তু দুই দিন ধরে কর্মবিরতি, শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্লাস নিলেন না কেন? উত্তরে আরো অস্বস্তিতে নডিহা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার মাজি, তার প্রতিক্রিয়া নার্য্য দাবির এই আন্দোলন, ভুল হলেও উপায় নেই যুক্তি প্রধান শিক্ষকের।
একই যুক্তিতে সরব স্কুলের বাকি শিক্ষকরাও। পড়ুয়ারা বলছে অসুবিধে তো হচ্ছেই কিন্তু উপায় কি? শিক্ষকরা বলছেন কর্মবিরতিতে। এইদিকে ক্লাসের সিনিয়ার পড়ুয়ারা বলছেন,উপায় নেই, শিক্ষক শিক্ষিকারা বলছেন তারা কর্মবিরতি করছেন তাই ছোট ভাইবোনদের পড়াশোনার ক্ষতি যাতে না হয় তার জন্য নিজেরাই উদ্যোগী হয়েছেন ক্লাস নিতে। যদিও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই কাজেকে সম্পূর্ণভাবে বিরোধিতা করলেন নডিহা হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি অঞ্জন মুখার্জী। পড়ুয়াদের পঠন পাঠনের ক্ষতি করে স্কুলের ভেতর কর্মবিরতির পোস্টার লাগিয়ে এই আন্দোলন সমর্থন করছেন না তিনি। পরিস্থিতি সামলাতে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে স্কুলের ঘন্টা বাজাতে হচ্ছে, পড়াশোনা করার দায়িত্ব নিতে হচ্ছে, এটা কেন হবে? সব মিলিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই কর্মবিরতির জেরে স্কুলের পড়ুয়ারা ঘুমোচ্ছে আর কেউ কেউ আবার গান করছে সেই ছবিও দেখা গেল। আর সিনিয়ার পরুবারা যেভাবে জুনিয়ারদের ক্লাস নিল। সেই গোটা ঘটনায় বিড়ম্বনায় এখন স্কুল কর্তৃপক্ষ।