এই মুহূর্তে




তৃণমূলের আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ কতদূর, CEO দফতরের কাছে জবাব তলব কমিশনের

নিজস্ব প্রতিনিধি:  বাংলায় SIR প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। বারবারই বাংলার শাসকদল বলে আসছে সম্পূর্ণ পরিকল্পনাহীনভাবে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী চলছে। এর ফলে ভুগতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে। ঘর, দেশছাড়া হওয়ার আতঙ্কে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। SIR এর কাজ করছেন যে সকল বিএলও তাঁরা প্রচণ্ড কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, আত্মহত্যা করছেন। তৃণমূলের দাবি পদ্মশিবিরের মন জয় করতে নির্বাচন কমিশন কোনও কসুর রাখছে না। তাঁরা বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে।

জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করে বারবার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। তাঁদের বক্তব্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ২ বছরের কাজকে ২ মাসে শেষ করতে চাইছে। দিন কয়েক আগে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে গিয়ে একাধিক অভিযোগ জানায়। সেই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে সিইও অফিসের কাছে জবাব তলব করল নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার সিইও দফতরে কমিশনের পক্ষ থেকে ফোন করে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। কমিশনকে সিইও দফতর জানিয়েছে, তৃণমূলের আনা সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৫টি অভিযোগের মধ্যে ৩টির জবাব দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগে সিইও দফতরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পার্থ ভৌমিকরা। তাঁরা  রাজ্যের সিইও মনোজকুমার আগরওয়ালের কাছে একাধিক অভিযোগ জানান। জমা দেন একটি স্মারকলিপি।

তৃণমূলের দাবি, SIR এর কাজের জন্য বিএলও-দের কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। এর ফলে মাঠে নেমে কাজ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিএলওদের। এদিকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল যথাযথ সময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে বিএলও’দের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। স্মারকলিপিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয় যে, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারলেও যেন বিএলওদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকা হয়।

সিইও দফতরে গিয়ে অরূপ বিশ্বাসরা যে যে অভিযোগ করেছিলেন, সেই বিষয়েই এবার খোঁজখবর নিয়েছে কমিশন। শুধু সিইও দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানানো নয়, তৃণমূলের প্রতিনিধিদল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরেও গিয়েছিল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের দশ সদস্যের প্রতিনিধিদল। কমিশনের কাছে পাঁচটি প্রশ্ন রাখেন তাঁরা। পরে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা দাবি করেন, তাঁদের প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেনি কমিশন।

পাঁচটি প্রশ্নের মধ্যে ছিল, সীমান্তবর্তী অসমে কেন SIR হচ্ছে না? ২০২৪ সালের ভোটার তালিকায় যদি অবৈধ ভোটার থেকে থাকে, তাহলে সেই ভোটে নির্বাচিত সরকার কীভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারে? তৃণমূলের গুরুতর অভিযোগ নিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না,  অথচ বিজেপির সামান্য অভিযোগ নিয়ে কেন নড়েচড়ে বসে কমিশন? তৃণমূলের পঞ্চম প্রশ্ন ছিল, বিএলও-দের মৃত্যু দায় কি কমিশন নেবে?

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ রাজ্যেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন। প্রথমে ঠিক হয়েছিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ ডিসেম্বর। এখন তা পিছিয়ে ১৬ ডিসেম্বর করা হয়েছে। ফলে পিছোতে হয়েছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ঘোষণার দিনও। ৭ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। বাড়ানো হয়েছে SIR-এর এন্যুমারেশন ফর্ম বিলির তারিখও। ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফর্ম বিলি করা যাবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রইল, মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর

প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল, অভিজিতের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চের

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অঙ্ক কি বাড়ছে? মালদা থেকে বড় ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর

সিঁথিতে গাড়ি রাখা নিয়ে বচসা, রিভলবার থেকে গুলি ছুঁড়লেন অটোচালক

‘‌দেশে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি, মানুষ ক্ষমা করবেন না’‌, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

‘আমি ভোট চাইতে আসিনি, দুশ্চিন্তায় পাশে দাঁড়াতে এসেছি’, বার্তা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ