নিজস্ব প্রতিনিধি : বুধবার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ি থেকে শূন্য হাতেই ফিরতে হল ইডি আধিকারিকদের। এদিন ছয় ঘণ্টা ধরে শাহজাহানের বাড়িতে চলে তল্লাশি। বেরোনোর সময় সড়বেরিয়ার বাড়ি সিল করে দেন তদন্তকারীরা। বাড়ির সামনে নোটিশ ঝুলিয়ে যাওয়া হয়। আগামী ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টায় শাহজাহানকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
এদিন সকালে শাহজাহানের সড়বেরিয়ার বাড়িতে যান ইডির আট জনের প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিল সিআরপিএফের দুই অ্যাসিসট্যান্ট কমান্ডারের নেতৃত্বাধীন বিশাল পুলিশবাহিনী। জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকদের তল্লাশি চালাতে গিয়ে বার বার হোঁচট খেতে হয়েছে। বাড়ির প্রায় সর্বত্রই তালা দেওয়া ছিল। কোনও তালার চাবিই পাওয়া যায়নি। তাই তালা ভেঙেই তল্লাশি চালাতে হয়েছে। দরজা ছাড়াও আলমারি ও বিভিন্ন ড্রয়ারের তালা ভাঙতে হয়েছে। মোট ১৯টি তালা ভাঙতে হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে তল্লাশি চালিয়েও বিশেষ কিছুই পাওয়া যায়নি। যে সব আলমারি ও ড্রয়ারের তালা ভাঙা হয়, সেখান থেকে জামাকাপড় ও গৃহস্থালীর জিনিসপত্র ছাড়া বিশেষ কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে এক তলার একটি ঘর থেকে কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও ৫০০ টাকার কিছু পুরনো নোট পাওয়া গিয়েছে, যেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শাহজাহানের বাড়িতে ইডি আধিকারিকদের পাশাপাশি স্থানীয় দুজন সাক্ষী হিসাবেও ঢুকেছিলেন। একজন ইডির ভিডিওগ্রাফারও ছিলেন। এদিন দুপুর দুটো পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চালানোর পর বাড়িটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির এ্ই তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেদিন শাহজাহানকে বার বার ফোন করেও টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি আধিকারিকরা। আধিকারিকদের করা ফোন কেটেও দেন শাহজাহান। এরপর আরেকটি নম্বরে ফোন করা হলে ফোনটি কেটে দেন ওই তৃণমূল নেতা। এরপরই শাহজাহানের বাড়ির তালা ভাঙতে গেলে স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। সেদিনের সেই ঘটনার পর এদিন রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিল ইডি। তবে বিশেষ কিছু পাওয়া গেল না।