এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দুয়ারে সরকার শিবিরে মকুব হয়ে গেল ৩০ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদ্যুৎ বিল(Electric Bill) না দিতে পারায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বন্ধ ছিল সাবমার্সিবল পাম্প(Submersible Pump)। আর তার জেরে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে চাষাবাদে সেচ নিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হতো কৃষকদের(Farmers)। কেননা সাবমার্সিবল পাম্প চালানোর জেরে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৪৪ টাকা। সুদ বাবদ সেই সঙ্গে যোগ হয়েছিল ২৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৫৭ টাকা। সব মিলিয়ে বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা পরিশোধের ক্ষমতা ছিল না কৃষকদের। এই সমস্যার সমাধানের জন্য কৃষকেরা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদ সদস্য ও বিধায়কের দ্বারস্থ হন। তাঁরা রাজ্য  বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে বসে মধ্যস্থতা করার উদ্যোগ নিলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সিদ্ধান্ত সেই কাজটা করে দিল। মুকুব হল বিলের বড় অংশই। ছবিটা পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম(Ketugram)-১ ব্লকের পাণ্ডুগ্রাম গ্রান পঞ্চায়েতের ভাণ্ডারগড়িয়া এলাকার।

জানা গিয়েছে, ভাণ্ডারগড়িয়া গ্রামে প্রায় ৪০ বছর আগে এলাকার সেচের জন্য একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছিল। সেই পাম্প চালাবার জন্য সেখানকার কৃষকদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল একটি কমিটিও। ওই সাবমার্সিবলের জলে ভাণ্ডারগড়িয়া গ্রাম ছাড়াও কুলাই, বনফুল, বাকলসা নিয়ে চারটি মৌজায় প্রায় শতাধিক কৃষকের প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে চাষ হতো। কিন্তু সেই সাবমার্সিবল পাম্পের বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে না পারায় প্রায় ১১ বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছিল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। এভাবেই ১১ বছর কেটে যাওয়ার পরে ওই চাষিরা সাবমার্সিবল পাম্পটি চালু করার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদ সদস্য ও স্থানীয় বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজের দ্বারস্থ হন। তাঁরা প্রত্যেকেই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে বসে মধ্যস্থতা করতে বসলেও সমাধানের রাস্তা পাওয়া যাচ্ছিল না। এই অবস্থায় সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুলে দেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ঘোষিত একটি সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ ও কৃষি ক্ষেত্রে চাষের সাবমার্সিবল পাম্প, ডিপ টিউবওয়েল ইত্যাদি ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া থাকা সুদ-সমেত বিলের পঞ্চাশ শতাংশ মকুব করা হবে। বাদ যাবে সমস্ত রকমের সারচার্জ।

সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঠিক হয়, ওই পাম্পের বকেয়া বিলের ওপর পঞ্চাশ শতাংশ ধরে চাষিরা ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন। সেই মতো শনিবার কেতুগ্রামের কুলাই স্কুলে দুয়ারে সরকার(Duare Sarkar) শিবিরে এসে চাষিরা বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দিয়েছেন। যদিও তাঁরা ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছেন। এর ফলে আর কিছুদিনের মধ্যেই নতুন করে চালু হয়ে যাবে সাবমার্সিবল পাম্পটি। দুয়ারে সরকার শিবিরে এসে ওই পাম্পের দায়িত্বে থাকা চাষীরা বিল পরিশোধের অঙ্গীকার পত্রে সই করেন। পাশাপাশি তাঁদের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর শংসাপত্র তুলে দেয় রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। ওই কৃষকেরাই জানিয়েছেন, অজয় নদের পাশেই তাঁদের জমি রয়েছে। প্রায় ১২ বছর আগে সেখানে বন্যায় বালি পড়ে জমিগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই সাবমার্সিবলের বিদ্যুৎ বিল মেটানো যায়নি তখন। ফলে চাষও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন নতুন করে সাবমার্সিবল পম্পটি চালু হতে চলেছে। ফলে তাঁরা নতুন করে আবারও সেখানে ফসল ফলাতে পারবেন।   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালি কাণ্ডের কিনারায় এখন শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরই মূল ভরসা সিবিআইয়ের?

মালদায় নির্বাচনী প্রচারে খগেন মুর্মুকে গরু – ভেড়ার সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ হাকিম

নাম বিভ্রাটের জেরে নিরাপরাধ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে আদালতে এনে বাড়ি পৌঁছে দিল পুলিশ

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কোথাও পুলিশ লাগালো গাছ, কোথাও আবার ডিউটির ফাঁকে করলেন রক্তদান

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে শান্তিপুরে ব্যাঙের বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা

কৃষ্ণনগরের দর্জি তাক লাগিয়ে দিলেন ১৪৪ বর্গফুটের লুডো তৈরি করে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর