নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের ২ জেলায় হাতির (Elephant) তাণ্ডব। মালবাজারে দাঁতালের হানায় মৃত্যু হয়েছে ১ ব্যক্তির। অন্যদিকে বীরভূম জেলায় তাণ্ডব চালায় ২ টি হাতি। ২টি ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। তৎপর বনদফতর। বাসিন্দাদের হাতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলে করা হয়েছে সচেতন।
সোমবার সকালে মালবাজারের কাঠামবাড়ি এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু (Death) হয়েছে ১ ব্যক্তির। মৃতের দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কৈলাশপুরের চাবাগান সংলগ্ন কাঠামবাড়ি জঙ্গলের সামনে শাক তুলতে গিয়েছিলেন শোনচোরিয়া ওরাওঁ ও কিরণ ওরাওঁ নামে ২ ব্যক্তি। সেই সময় হঠাৎ করে ১ টি হাতি তাঁদের সামনে চলে আসে। এরপর ওই দাঁতালকে দেখে কিরণ পালাতে পারলেও তা পারেনি শোনচোরিয়া। সেই সময় ওই হাতি শোনচোরিয়াকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
হাতির হানার খবর কিরণ ছুটে গিয়ে জানায় শোনচোরিয়ার বাড়িতে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরেও। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বনদফতরের আধিকারিকরা। এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া।
অন্যদিকে ফের বীরভূমে দাঁতালের তাণ্ডব। সোমবার বীরভূমের তেঘরিয়া গ্রামের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে ২ টি হাতি। তা দেখতে ভিড় জমায় গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, দলছুট দুটি হাতি তেঘরিয়া গ্রামে ঢুকেছে। সেই খবর দেওয়া হয় বীরভূমের বনদফতরের আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, বাঁকুড়া বেলিয়াতোড় থেকে বিশেষ হুলিয়া টিম নিয়ে আসা হয়েছে হাতি তাড়ানোর জন্য। ঘটনাস্থলে এসেছে পারুই থানার পুলিস। ঘুমপাড়ানি গুলি করে ২ টি দাঁতালকে কাবু করা হয়েছে। তাদের ক্রেনে করে লরিতে তোলা হবে। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা করে ২ গজরাজকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
গত রবিবারও বীরভূমে হাতি তাড়াতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া য়ায়। জানা গিয়েছে, রবিবার বাঁকুড়া থেকে ১ টি দলছুট হাতি বীরভূমের অবিনাশপুরে ঢুকে পড়ে। হাতিটিকে তাড়াতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন এক বনকর্মী। তাঁর পায়ে এবং বুকে আঘাত লেগেছিল বলে জানা গিয়েছিল। হাতিটি যাতে লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে সেই জন্য ওই বনকর্মী হাতিটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁকে আক্রমণ করে হাতি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম খোকনপ্রসাদ দে। পরে ওই হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিত করে কাবু করা হয়। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা করে বাঁকুড়ার নিয়ে যাওয়া হয়।