নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের দু’জন নির্বাচিত প্রার্থীকে নিয়ে চেয়ারম্যানের জল্পনা বালুরঘাটে। মুখে না বললেও চাপানোতর জেলা তৃণমূলের অন্দরে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর বালুরঘাট পুরসভার ২৫টি-র মধ্যে ২৩ টি দখল করেছে তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই এখানে বোর্ড গড়ছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠায় জেতা শাসক দল। তবে নির্বাচিত দু’জন তৃণমূল হেভিওয়েট প্রার্থী চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বলে চর্চা তুঙ্গে।
তাঁদের মধ্যে একজন হলেন ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। প্রদীপ্তা দেবী একাধারে জেলা মহিলা তৃণমূল সভাপতি। আবার তিনিই হলেন বিশিষ্ট রাজ্য তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর পুত্রবধূ।
অন্যদিকে, চেয়ারম্যানের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন এবারে ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব খাঁ। বিপ্লববাবু তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি। দীর্ঘদিন তিনি তৃণমূলের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন। তবে তাঁর নামে কুৎসা চালিয়ে এবার প্রচারের ময়দানে ছিল বিজেপি। বিপ্লব খাঁ জেলার বরিষ্ঠ নেতা তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র-র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। প্রদীপ্তা দেবী এবং বিপ্লব খাঁ-এই দু’জনের মধ্যে একজনকে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা চলছে দলের অন্দরে। একই চর্চা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলেও।
এই বিষয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, ‘দলের নিয়ম-নীতিকে সামনে রেখে আমরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আগের চেয়েও বেশি আসনে জয়লাভ হয়েছে। এই পর্যন্ত আমরা দল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিপাহী হিসেবে কাজ করেছি। কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটা দলের সিদ্ধান্ত। যোগ্য কাউকেই দেওয়া হবে। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটাই অক্ষরে-অক্ষরে পালন করব’। পাশাপাশি, একই সুরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের নির্বাচিত প্রার্থী বিপ্লব খাঁ বলেন, ‘চেয়ারম্যান কাকে করা হবে সেটা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থির করবেন। আমি যে দায়িত্ব পাব সেটাই পালন করব। যোগ্য ব্যক্তিকে সামনে রেখেই পুরসভা পরিচালনা হবে’।