নিজস্ব প্রতিনিধি: মোবাইল ফোনের লোকেশন চিহ্নিত করে অবশেষে এক খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরে ফেলল শ্যামনগরের বাসুদেবপুর থানার পুলিশ। ফোনের লোকেশন চিহ্নিত করে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা।
দুর্গা পুজোর দশমীর দিন খুন হন পেশায় সুদের ব্যবসায়ী রতন রায়। শ্যামনগর বাসুদেবপুর থানার কাউগাছি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রথতলা এলাকা থেকে ৫০ বছর বয়সী রতনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এর পর ঘটনার তদন্তে নামে শ্যামনগরের বাসুদেবপুর থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে টাকার জন্য রতন রায়কে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিস দাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে রতনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। দেবাশিস খাবারের হোম ডেলিভারির ব্যবসা রয়েছে। সেই ব্যবসায় টাকা ঢালার জন্য রতনের কাছ থেকে টাকা ধার নেয় দেবাশিস। কিন্তু অনেকদিন হয়ে গেলেও টাকা ফেরত দিচ্ছিল না দেবাশিস। দেবাশিসের কাছে টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকে রতন। এরপর গত ৫ অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের প্রবোধ গেস্ট হাউসে রতনকে ডাকে দেবাশিস। সেখানে দেবাশিস ছাড়াও ইনজামামুল হক, মহম্মদ আরমান ও পাপ্পু আনসারি নামে তিনজন ছিল। রতনকে খুন করার জন্য তিনজনকে সুপারি দিয়ে এনেছিল সে। সি গেস্ট হাউসে বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে রতনকে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে একাধিক বার আঘাত করা হয় রতনের। খুনের পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। অবশেষে তদন্তে নেমে নিহত রতনের ফোনের লোকেশন চিহ্নিত করে চার অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে, দেবাশিস দাস, ইনজামামুল হক, মহম্মদ আরমান ও পাপ্পু। দেবাশিস দাস ওরফে লাল নোয়াপাড়া থানার কে এন চ্যটার্জি রোড এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পাপ্পু-আরমান-সহ ধৃত বাকি তিনজন ভাটপাড়া থানার অর্ন্তগত কাঁকিনাড়ার মানিকপীরের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।