নিজস্ব প্রতিনিধি,রতুয়া: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। ভোট -এ তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে রীতিমতো জয়ী হন । রতুয়া(Ratua) দুই নং ব্লকের পীরগঞ্জ অঞ্চলের সাতমারা ২৩২ নম্বর সইদুর রহমান। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) থেকে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়েন এসনোর বিবি। যদিও ভোটে হেরে যান তিনি। আজকে তারা দুজনেই নিজেদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় এলেন।
এ ব্যাপারে সইদুর রহমান বলেন, আজকের এ দল বদলের মুখ্য কারণ হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন । কিছু বিভ্রান্তিতে পড়ে তিনি কংগ্রেসে যান। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েই কাজ করবো। কোন প্রকার প্ররোচনায় নয়, স্বইচ্ছায় আজকে দলবদল করলাম আমি বলে দাবী করেন। অন্যদিকে, এসনোর বিবি জানান,আমি বরাবরি তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। গত পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াই করেন। যদিও ভোটে জিততে পারেন নি।আজকে আমি নিজের ইছাতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হলাম বলে জানান।
অন্যদিকে, ব্লক সভাপতি রকিবুল হক বলেন, দলের নিয়ম মেনেই আজকে তাদেরকে দলে নেওয়া হল। নির্দল প্রার্থী বলে কোন কথা নেই, মমতা ব্যানার্জির(Mamata Banerjee) উন্নয়ন দেখেই তারা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হলেন। এদিকে মালদার(Malda) রতুয়ায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। ঘটনার চারদিন পর এলাকায় তদন্তে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুখুরিয়া থানার পুলিশ অফিসারেরা। বুধবার রতুয়া দু’নম্বর ব্লকের শ্রীপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী সাদেক আলীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে ঝোপের মধ্যে থেকে। অপহরণ করে খুনের অভিযোগ তুলে পরিবার এবং তৃণমূল একাংশ। এই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশ আধিকারিকদের ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ মূল অভিযুক্তদের আড়াল করছে পুলিশ।