নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) আবহে এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোচবিহারের(Coachbehar) মাটি সাক্ষী থেকেছে দুই মহারথীর দুই পৃথক জনসভা। প্রথমটি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee), এবং দ্বিতীয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi)। স্বভাবত ভাবেই মমতা এদিন তাঁর সভা থেকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তবে নাম না করেই সেই আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন জলপাইগুড়ির ঝড়ের প্রসঙ্গকেও।
মমতা এদিন জানান, ‘জলপাইগুড়িতে ঝড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বার্নিশে ৭০০-৮০০ বাড়ি ধুলোয় মিশে গিয়েছে। এই ঝড় যাদের বাড়ি নষ্ট হয়েছে। তাদের বাড়ি আমরা করে দেব। কমিশনের কাছে অনুরোধ এটা ঝুলিয়ে রাখবেন না। আমরা বাড়ি করে দেব। মানুষগুলি রাস্তায় বসে আছে৷ আমি খবর পেয়ে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আমি বাগডোগরা আসি। নিহত আহতদের পরিজনদের সাথে দেখা করার পাশাপাশি আমি কিছু স্পট দেখি। আজ এখানে একটা মিটিং করতে আসবেন বাবুরা, দেখবেন কত কান্না কাঁদবে সব। ওদের জিজ্ঞাসা করবেন? যে ১১ লক্ষ আবাসের তালিকা পাঠানো হয়েছিল, তার কী হল? ১০০ দিনের টাকার কী হল? তিন বছর ধরে আবাসের টাকা দেয় না, রাস্তাঘাটের টাকা দেয় না, রাস্তাঘাটের টাকা দেয় না, আমরা কী খারাপ করেছিলাম? ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, রাস্তার কাজে বাংলা প্রথম ছিল। কেন আটকে রেখেছেন? বিজেপি(BJP) এখনও ছাড়পত্র দেয়নি বলে!’
এই প্রসঙ্গে মমতা এদিন আরও বলেন, ‘জলপাইগুড়ির ঝড়ের সময়ে আমাদের চিকিৎসক ও প্রশাসন দারুণ কাজ করেছে। তাদের প্রচেষ্টায় অনেকের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। আমি বার্নিসে গিয়েছিলাম। ঝড়ে একটা বাড়িও নেই। আমি আলিপুরদুয়ার জেলায় গিয়েছিলাম। তপসীহাটাতে যারা ঘর বাড়ি হারিয়েছেন তারা ছিলেন। আমি সাধারণ মানুষের সাথেও কথা বলেছি। এটা ঝড় জলের সময়। আর এই সময়েই আমাদের ভোট হয়। নদী মাতৃক দেশ হল বাংলা। সবচেয়ে বেশি সাইক্লোন হয় বাংলা আর বাংলাদেশে। চার লাইন বাংলা বলতাসে, কী সুন্দর বাংলা কয়! তা নয় ওটা লেখা থাকে। আমার এখানে হালকা রঙেয়ের একটি মাইক থাকে। তার মধ্যে লেখা থাকে পুরো। আপনার দেখতে পাবেন না। এই সিস্টেম আমেরিকায় চালু আছে। এসেই বলবেন, কোচবিহার রাজার জয়, পঞ্চানন কোর্মার জয়। আসলে সবটাই দেখে বলবেন। এটাকে বলে দেখে বলা, আমাকে যদি বলেন গুজরাটিতে বলতে, আমি বলে দেব। আমায় রাজবংশী ভাষায় বলতে বললেও বলে দেব।’