এই মুহূর্তে




পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা নিয়ে বিবাদ, প্রেমিকের পুরুষাঙ্গে লাথি মেরে খুন প্রেমিকার

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিবাহিত বধূর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছিল। তাই ওই প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন বধূ প্রেমিকা। কিন্তু প্রেমিক তো নাছোড়বান্দা ছিলেন। তাহলে এই সম্পর্ক শেষ করে বেরিয়ে আসবেন কেমন করে?‌ প্রশ্ন জেগেছিল প্রেমিকার মনে। এই সম্পর্কে এবার ইতি টানার কথা প্রেমিকা বলেছিলেন প্রেমিককে। আর তা জেনেই ঝগড়া করতে শুরু করেন প্রেমিক বলে অভিযোগ। সেই ঝগড়া পৌঁছে যায় মারামারিতে। এই তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রেমিকের যৌনাঙ্গে লাথি মারেন প্রেমিকা। আর তার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রেমিকের বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে নদিয়ার রানাঘাটে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সাগর মণ্ডল (‌৫০)‌। প্রেমিকার মতো প্রেমিকও ছিলেন বিবাহিত। সুতরাং সেখানে একটা পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যদিও ওই প্রেমিকার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছিল। তাই স্বামী ঘর ছেড়ে ধানতলা থানা এলাকার রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি ঝুপড়িতে থাকতে শুরু করেন ওই বধূ। ওই বধূর সঙ্গে তাঁর ছেলেও ঝুপড়িতে থাকত। এই ঝুপড়িতেই সাগরের সঙ্গে বধূর প্রথম পরিচয় হয়। সেই পরিচয় পরে প্রেমে পরিণত হয়েছিল। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’‌জনের মধ্যে।

এদিকে সেই সম্পর্কের জেরে নিজের স্ত্রী, সন্তানকে ছেড়ে এই বধূ প্রেমিকার সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। এমনকী ওই প্রেমিকার এবং তাঁর ছেলের খরচও বহন করতেন এই প্রেমিকা। কিন্তু এবার সম্পর্কের দড়ি টানাটানি নিয়ে অশান্তি শুরু হয় দু’‌জনের মধ্যে। কয়েক মাস ধরে তা নিয়েই ঝগড়া চলছিল প্রেমিক–প্রেমিকার মধ্যে। এবার প্রেমিকা সম্পর্কে ইতি টানতে চাইলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। শনিবার রাতে প্রেমিকার কাছে যান সাগর। গলির মুখে তখন একটি অন্ধকার জায়গায় প্রেমিকার ছেলের সঙ্গে প্রেমিকের অশান্তি হয়। মারামারিও হয়েছিল। তখনই প্রেমিকা বেরিয়ে এসে সাগরের পুরুষাঙ্গে লাথি মারেন। গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে এই ঘটনার পর সাগরের পরিবার ওই প্রেমিকার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। আর সেটা জানতে পেরেই ওই দুজনেই পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী অনিমা মণ্ডল এই খুনের ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘অনেকবার বারণ করেছিলাম, সংসার ছেড়ে না যেতে। ওই মহিলার সঙ্গে গিয়ে থাকত স্বামী। জানতাম, একদিন না একদিন এমনই পরিণতি হবে। যার জন্য সব কিছু করল, সেই ওকে মেরে পালাল। ওর চরম শাস্তি হোক।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দক্ষিণবঙ্গে হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা, বছর শেষে আর কতটা নামবে তাপমাত্রা?

কলকাতায় মেঘলা আকাশ , হালকা কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা আপাতত ৪৮ ঘণ্টা ব্যাটিং করবে

শহরে ৩ দিনের সফরে পা রেখেই সল্টলেকে কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ

বর্ষবরণের রাতে ঘরে ফেরার চিন্তা দূর করতে অতিরিক্ত মেট্রো চলবে শহরে

অন্তঃস্বত্তা মহিলা ও ৮৫ ঊর্ধ্ব সহ অসুস্থদের ডাকা যাবে না শুনানিতে , নির্দেশ কমিশনের

ময়দান স্টেশনে আপ লাইনে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ, ব্যাহত পরিষেবা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ