নিজস্ব প্রতিনিধি: ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনেই কাজ হারালেন প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক। হুগলি জেলার চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে এদিন সকালে সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এদিন সকালে কাজ করতে এসে জুটমিলের গেটে এই নোটিস দেখা ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকেরা। আগামী ২২ জানুয়ারি চন্দননগরের পুরনিগমের নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এই জুটমিল বন্ধের জেরে রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ওই জুটমিলের শ্রমিকেরা যাতে তৃণমূলকে ভোট দিতে বাধ্য থাকেন তাই পরিকল্পনা করেই এই কারখানায় সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝোলানো হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে সেই দাবি খণ্ডন করে কারখানা কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল। তা নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরোধ বাঁধে। সেই বিবাদের জেরেই এদিন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে শ্রমিকেরা অভিযোগ করেছেন। তবে গোন্দলপাড়া জুটমিল বন্ধ হওয়ার এই ঘটনা প্রথম নয়। গত কয়েক বছর ধরেই এই জুটমিল বার বার বন্ধ করে দিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের চাপে সেই কারখানা খোলাও হয়েছে দফায় দফায়। তবে সামগ্রিক ছবি যে বদলায়নি সেটাই কিন্তু এদিনের ঘটনা ফের আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। তবে বছরের প্রথম দিনেই ৪ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ায় শ্রমিকমহল্লায় ক্ষোভ ছড়ানোর পাশাপাশি দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছে। আবার কবে জুটমিল খুলবে, আবার কবে তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারবেন, আবার কবে তাঁরা হাতে টাকা পাবেন তা নিয়েই তাঁদের দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে।