নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত হতে চলেছে আবারও? এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। একই দিনে দু’বার গিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অথচ তা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বা শিক্ষা দফতরকে তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। আবারও রাজ্যপাল একাই সিদ্ধান্ত নিলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে।
শিক্ষামন্ত্রী গত ১৪ এপ্রিল বলেছিলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্যপালের একক নিয়ন্ত্রণ মানা হবে না। ইচ্ছে মতো রাজ্যপাল একক সিদ্ধান্তে উপাচার্য নিয়োগ করছেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁকে বা শিক্ষা দফতরকে তা জানানো হচ্ছে না। ব্রাত্য বসু আবারও বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘আচার্য’ করা হোক।
এবার দেখা গেল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে একাই হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল (GOVERNOR)। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (নিবন্ধক)কে বরখাস্ত করেছিলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। রাজ্যপাল তথা আচার্য আজ মঙ্গলবার সেই রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে কোর্ট মিটিং ডাকার। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন রাজ্যপালও।
গত ১৬ এপ্রিল শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে চন্দন বসুকে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। অভিযোগ, তা জানানো হয়নি শিক্ষা দফতরকে। নিয়োগের আগেও আলোচনা করা হয়নি। আরও অভিযোগ, উপাচার্য হিসেবে রঞ্জন চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে শিক্ষা দফতর নতুন নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল রাজভবনে। তার উত্তর আসেনি। তারপর একদিন কাটতে না কাটতেই ফের একাই সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল। সবুজ শিবিরের কটাক্ষ, ‘ওঁ বাংলার ছোটলাট’।