নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যবসায়ীদের কর ফাঁকির বদঅভ্যাস রুখতে কেন্দ্র তৈরি করে জিএসটি। কোন কোন পণ্যের ওপর করের হার কেমন হবে, সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। তারপরেও ঘটেছে করফাঁকি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, নন্দন নিলেকানি জিএসটি পরিষদে এই মর্মে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন, যেখানে তিনি পরিষদকে দেখিয়েছেন করফাঁকি হয়েছে ব্যাপক হারে। ২০২০ পর্যন্ত করফাঁকির পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীও রাজ্যসভায় এই মর্মে একটি প্রতিবেদন পেশ করে দেখিয়েছেন, যে জমা পড়েনি এই বিশাল পরিমাণ কর।
অমিত মিত্র জানিয়েছে, এই ৭০ হাজার কর ফাঁকি হয়েছে দুইভাবে। একটি হয়েছে ইনপুট কর জালিয়াতি করে। পরিমাণ ৩৮,৭৭১ কোটি টাকা। দ্বিতীয়টি হয়েছে আন্ডার ডিক্লারেশনে। আন্ডার ডিক্লারেশনে হওয়া ক্ষতির পরিমাণ ৩১, ২৪৭ কোটি টাকা। প্রথম ক্ষেত্রে উঠে এসেছে ৪২, ৬১৮টি ঘটনা। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৯৭,৮৫৩টি।
তবে সেটাই প্রথম নয়, ২০২০-য়ের পর আরও একবার করফাকি ধরা পড়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০-য়ের পর কর ফাঁকির পরিমাণ ৫৫, ৫৭৫ কোটি টাকা। ফলে, দুই মিলিয়ে জিএসটি আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে হল ১,২৫, ৫৯৩ কোটি। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, জিএসটির ঘরে যে এই পরিমাণ জমা পড়েনি, সেটা নিয়ে কোনও রাজনীতির প্রয়োজন নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, কীভাবে এই করফাঁকি আগামীদিনে বন্ধ করা যাবে। প্রয়োজনে জিএসটির পরিকাঠামো সংশোধনের।
আরও পড়ুন বাংলায় ৮ হাজার কোটি টাকার জিএসটি প্রতারণা, গলদ আইনেই