নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন স্বামী (Husband)। তার মাঝে ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল স্ত্রীর (Wife)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ঘটেছে হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের সিজা-কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরনই গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মৌমিতা ঘোষ। ৩২ বছর বয়স তাঁর। বলাগড়ের সিজা-কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরনই গ্রামের বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ ঘর থেকে মৌমিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্ত্রীর এমন পরিণতি নিয়ে স্বামী প্রতাপ ঘোষ জানান, রবিবার তিনি মাঠে কাজে গিয়েছিলেন। সকালে বাড়ি এসে এই অবস্থায় মৌমিতাকে দেখি। অন্যদিকে এমন খবর ছড়িয়ে পড়তে স্থানীয়রা ভিড় করেন প্রতাপের বাড়িতে। খবর পৌঁছয় স্থানীয় থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মৌমিতার দেহ উদ্ধার করে ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে পুলিশের তরফে। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘চাকরি চলে গিয়েছিল প্রতাপের। তার পর থেকে দুশ্চিন্তায় ছিল ওরা। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়।’
অন্যদিকে মৌমিতা ঘোষের বাপের বাড়ির তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। মৌমিতার দাদা বাবলু ঘোষের অভিযোগ, প্রতাপ তাঁর বোনকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর আগেও ওদের মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। প্রতাপকে চাকরির জন্য ১০ লাখ টাকা তাঁরা দিয়েছিলেন বলে দাবি বাবলুর। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ডুমুরদহ ধ্রুবানন্দ হাইস্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন প্রতাপ। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই চাকরি হারান প্রতাপ। অন্যদিকে মৌমিতা ডিএলএড পড়ছিলেন ভান্ডারটিকুরির একটি বেসরকারি কলেজে।