এই মুহূর্তে




হরিশ্চন্দ্রপুরে হোটেলের আড়ালে মধুচক্র , ক্ষিপ্ত জনতার রোষে ভাঙচুর, পুলিশ আহত




নিজস্ব প্রতিনিধি,হরিশ্চন্দ্রপুর: হোটেলের আড়ালে চলছিল দেহ ব্যবসা।রমরমিয়ে বসছিল মধুচক্রের আসর।রাত বাড়তেই ভিড় জমায় বহিরাগত যুবক-যুবতীরা। বেশ কিছু দিন ধরেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের।তারপর মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হতেই তুলকালাম কান্ড। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত সাব ইন্সপেক্টর।ব্যাপক ভাংচুর চালানো হল হোটেলে। গ্রেফতার ৪ যুবক। এক মহিলা উদ্ধার। ভুল বোঝাবুঝিতে স্থানীয় কিছু যুবককে আটক করলে থানার সামনেও ধস্তাধস্তি হয়। পরবর্তীতে আইসির হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে পরিস্থিতি।হোটেলের মালিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির আত্মীয় এবং প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে থাকায় তারা প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চালাচ্ছে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও কংগ্রেসের দাবি সম্প্রতি এক মাস আগেই হোটেল ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। যারা ভাড়া নিয়ে ছিল তারা তৃণমূল করে। তারাই এই ষড়যন্ত্র করেছে।

মঙ্গলবার রাতে মালদা জেলার(Malda District) হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় তেঁতুলবাড়ির এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ,তেঁতুল বাড়িতে একটি হোটেল রয়েছে।যে হোটেলের মালিক প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ মুসলিমের ছেলে নুর আলম। যিনি আবার কংগ্রেস সিপিএম জোট পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের আত্মীয়। ওই হোটেলে বেশ কয়েক দিন ধরেই বাহির থেকে যুবক-যুবতীরা আসতো। পার্শ্ববর্তী স্থানীয় দোকানদারদের সন্দেহ হতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে পুনরায় যুবক যুবতীরা আসে। তারপরে স্থানীয়রা চার যুবক এবং এক মহিলাকে আটক করে। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়(Harishchandrapur P.S.)। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আসতেই ধুন্দুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ধাক্কাধাক্কিতে সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত হন। গন্ডগোলের জেরে ভুল বোঝাবুঝিতে পুলিশ স্থানীয় কিছু যুবককে আটক করলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়।আইসি মনোজিৎ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ সূত্রে খবর ,মোট ৪জন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। যদিও তৃণমূলের দাবী হরিশ্চন্দ্রপুরের পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে। এই হোটেল প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলের। তারা প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ চালাচ্ছিল। যদিও কংগ্রেস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের দাবি সম্প্রতি তারা এই হোটেল ভাড়া দিয়ে ছিলেন। সমস্যা মনে হওয়াই ভাড়া থেকে উঠেও যেতে বলে ছিলেন। তার মাঝে এই ঘটনা। আর যারা ভাড়া নিয়েছিল তারা তৃনমূল করে। তারা এই ষড়যন্ত্র করেছে। সাথে তৃণমূলের ছেলেরাই হোটেল ভাঙচুর করেছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজস্থানে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার

নিউটাউনে জনবহুল এলাকার ফুটপাত থেকে রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ

বহরমপুরে ভাগিরথী নদী থেকে নিখোঁজ নার্সের দেহ উদ্ধার, এলাকায় উত্তেজনা

রাজ্যের সব Smart Panchayat’র সব বাড়ি পাবে Unique Identification Number

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে আমজনতার সাহায্য চাইল সিবিআই

১০ বছরের সমস্যা মিটে গেল ১০ দিনেই, নেপথ্যে অভিষেক, জমির দখল পেল ১৬ পরিবার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর