এই মুহূর্তে




বয়স তাঁর ৫২, তবুও জড়িয়েছিলেন পরকিয়ায়, শেষে হল মর্মান্তিক পরিণতি

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুব হয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdwan) জেলার মন্তেশ্বর(Manteshwar) থানার চন্দ্রপুর গ্রামে। সেই খুনের(Murder) ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই ১জনকে গ্রেফতার(Arrest) করেছে। এদিনই তাকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী পরকিয়াতে জড়িয়েছিলেন খুন হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে। সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই পরে আত্মঘাতী হন ওই মহিলা। আর স্ত্রীকে হারিয়ে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির ক্ষোভ গিয়ে পড়ে খুন হওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই আক্রোশেই রীতিমত গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে লোক লাগিয়ে খুনের ঘটনা। মৃত ব্যক্তির নাম প্রবীর মণ্ডল(৫২)। তাঁরই প্রতিবেশী গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি যার নাম নিধন বাগ। 

জানা গিয়েছে, প্রবীরবাবুর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার মন্তেশ্বর থানার পাকুড়মুড়ি গ্রামে। তাঁর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্কে ছিল সেই গ্রামেরই বাসিন্দা নিধন বাগের স্ত্রী বন্দনা বাগের। সেই প্রেম বাল্য প্রেম। যদিও সেই প্রেম পরিণতি পায়নি। প্রবীরের বিয়ে হয় চুমকি মণ্ডলের সঙ্গে আর বন্দনার বিয়ে হয় নিধনের সঙ্গে। কিন্তু মন থেকে কেউই কাউকেই ভুলতে পারেননি। তাই তলে তলে যোগাযোগ থেকেই গিয়েছিল। সেই প্রেমের আঁচ পেয়েছিল নিধনও। নিধনের আবার দুটি বিয়ে। প্রথম স্ত্রী আত্মঘাতী হন। যদিও সেই নিয়ে সন্দেহ আছে অনেকেরই। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বন্দনা নিধনের দ্বিতীয় পক্ষ। বছর দেড়েক আগে তিনি আত্মঘাতী হন। সেই ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কিন্তু বন্দনার মৃত্যুর পরে নিধনের রাগ গিয়ে পড়ে প্রবীরবাবুর ওপর। বন্দনার মৃত্যুর পর নিধন প্রবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাতে বলা হয় প্রবীরের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়েছিলেন বন্দনা। সেই সম্পর্ক থেকে বার হতে চেয়েই আত্মঘাতী হন বন্দনা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রবীরবাবুকে গ্রেফতারও করে। যদিও পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু জামিনের পর থেকে নিধন তাঁকে খুনের হুমকি দিত।

এখন প্রবীরবাবুর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, হুগলির চুঁচুড়ায় একটি ভোজ্য তেল কারখানায় কাজ করতেন প্রবীরবাবু। সেখানেই থাকতেন। প্রতি শনিবার ডিউটি সেরে বাড়িতে ফিরতেন। শনিবার রাতেও সেই নিয়ম মেনেই বাড়ি ফিরছিলেন। চুঁচুড়া থেকে ট্রেন ধরে এসে নেমেছিলেন মেমারি স্টেশনে। সেখানে নামার পর বাস ধরে তিনি চন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে নামেন। তার পর হেঁটে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত প্রায় ৯টা নাগাদ প্রবীরবাবুকে রাস্তায় ঘিরে ধরে কয়েকজন। তার পরেই এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। স্থানীয়রা রাস্তায় তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর যায় পুলিশে।  তাঁরাই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। এদিন সেই খুনের ঘটনায় প্রবীরবাবুর স্ত্রী চুমকি মণ্ডল পুলিশের কাছে তাঁর স্বামীকে খুনের অপরাধে নিধন বাগ, তাঁর ভাই উৎপল বাগ এবং নিধনের সম্বন্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নিধনকে গ্রেফতার করেছে। এদিনই তাকে তোলা হয় আদালতে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রেহাই মেলল না ওড়িশায় লুকিয়েও, এবার STF-এর জালে জিয়াউলের দুই পুত্র

সুন্দরবনে বিজেপির কনভেনারের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার

দিঘার সমুদ্রের জলে ভেসে আসা জগন্নাথ দেবের মূর্তির রহস্য সামনে এল

ছেলের সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত

‘ওয়ান ইন আ মিলিয়ন’, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সজ্জন জিন্দাল

মালদহে চোলাই খেয়ে মৃত্যু হল আদিবাসী গৃহবধুর

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর