নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলিঃ শিক্ষক নিয়োগ, রেশন দুর্নীতির পর এবার আলু চাষের মরসুমে সামনে এল সারের দুর্নীতি। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ নিমাই চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ আধিকারিকরা হুগলির সিঙ্গুরের একাধিক সারের দোকানে হানা দেয়। এবার সেই সারের দোকানে গিয়ে তাঁরা উদ্ধার করেন মজুত করে রাখা সার। হুগলি জেলার একাধিক ব্লক থেকে নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দামের সার নেওয়ার অভিযোগ যেমন উঠেছে, তেমনি অভিযোগ উঠেছিল মজুত করে রাখা সার বেশি দামে বিক্রি করার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিন পুলিশ আধিকারিকরা মূলত সারের দাম নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা দেখতেই হুগলির বেশ কয়েকটি দোকানে হানা দেয়। শুধু তাই নয় সারের রেট চার্ট যথাযথভাবে দোকানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কিনা তাও পুলিশরা খতিয়ে দেখা শুরু করেন। পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের পুলিশের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে তাঁরা সারের রেট চার্ট দেখে কেনা-কাটা করে। পাশাপাশি এলাকায় সারের দুর্নীতির খবর উঠে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত , বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীততে উঠে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের হেভিওয়েট নেতাদের । টানা ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি পার্থ চট্টপাধ্যায়, অনুব্রত মন্ডল, মানিক ভট্টাচার্য সহ শাসক দলের তাবড় নেতারা । সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বর্তমানে তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। এবার এই সব দুর্নীতির মাঝেই উঠে এল সারের দুর্নীতির নাম।