নিজস্ব প্রতিনিধি: স্ত্রীকে মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সোনারপুর থানা এলাকার চড়ক তলায়। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত মহিলার নাম মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী বাবু বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সন্দেহের বশে স্ত্রী মৌসুমীকে লাঠি দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করেছেন স্বামী বাবু। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। প্রথমে প্রতিবেশীরা কিছুই বুঝতে পারেননি। বাইরে থেকে ওই মহিলার ঘর বন্ধ করা অবস্থায় চাবি দেওয়া ছিল। ঘরে চাবি দিয়ে সেই চাবি নিজের মায়ের কাছে রেখে চলে যান অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। রাতে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনেছিলেন প্রতিবেশীরা। পরে সব চুপচাপ হয়ে যায়। এরপর সন্দেহ হওয়ায় বাবু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আসেন তাঁরা। তাঁর মায়ের কাছ থেকে চাবি নিয়ে দরজা খুলে বিস্মিত হয়ে যান প্রতিবেশিরা। তাঁরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন মৌসুমী। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত বাবু বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে এক প্রতিবেশি জানান, বাবু ও মৌসুমীর মধ্যে অনেক দিন ধরেই ঝামেলা চলছে। ওই দম্পতির সন্তানও রয়েছে। মৌসুমী তিন-চার বাড়িতে কাজ করতেন। কাজ থেকে ফিরে বাড়ির সব কাজ সামলাতেন তিনি। হাসিখুশি মেজাজের মৌসুমী সবার সঙ্গে কথা বলতেন বলেই স্বামীর সন্দেহ ছিল তাঁর ওপর। সেই সন্দেহের বশে মৌসুমীকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ