নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোষ নয়। তাই রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় নানা উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে যখন টেন্ডার সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তখন তা দ্রুত তদন্ত করে দেখা হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে। রাজ্যের পরিবর্তনের আগে অর্থাৎ বাম জমানায় ই-টেন্ডার(E-Tender) বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু পরিবর্তনের পরে ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ৫০ লক্ষ বা তার বেশি টাকার কাজের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডার চালু করার নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক রাজ্যের অর্থ দফতরও ৫০ লক্ষ বা তার বেশি টাকার কাজের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডার চালু করে। কিন্তু পরের বছর তা আরও কমিয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়। এবার তা আরও কমিয়ে ১ লক্ষ করা হল। অর্থদফতর এবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি(Notice) প্রকাশ করে দিয়েছে।
রাজ্যের অর্থ দফতরের(Finance Department) প্রধান সচিব মনোজ পন্থের(Manoj Panth) জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব সরকারি দফতর, সরকারি সংস্থা, স্বয়ংশাসিত সংস্থা, পঞ্চায়েত, পুরসভা এবং পুরনিগম প্রভৃতির ক্ষেত্রে এবার থেকে যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি খরচ ধরা হলে তার জন্য ই-টেন্ডার ডাকতে হবে। ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি মূল্যের যেকোনও টেন্ডারের নোটিস সরকারের ই-টেন্ডার পোর্টালে দিতেই হবে। ই-টেন্ডার বাধ্যতামূলক হওয়ায় এবার থেকে আর গোপনে কোনও টেন্ডার ডাকা যাবে না। তাতে পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করে গত মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল অর্থদফতর। এবার কিন্তু রীতিমত নির্দেশ এল। ফলে গ্রামাঞ্চলে টেন্ডার সংক্রান্ত দুর্নীতি এবার কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এক বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের।