নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্যালকে মারধর এবং হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্যালকে মারধরের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল বহরমপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তুলে জেল হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত পুলিশের সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
বৃহস্পতিবার হরিহারপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ এবং মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামসুজ্জোহা বিশ্বাস কয়েকশো লোককে নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর অফিসে দেখা করতে যান। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ ছিল বহরমপুরের এক ডাক্তার এবং একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার নাম করে এক রোগীকে দীর্ঘদিন সেখানে রেখে বিল বাড়িয়ে চলেছে। ওই রোগীর চিকিৎসার জন্য জন্য প্রায় ২.৩০ লাখ টাকার বিল তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানায় রোগীর পরিবারের লোকজন। বিষয়টি বহরমপুর-গোটাডাঙার ওই রোগীর পরিবার বিধায়ক ও সভাধিপতিকে জানায়। এরপর বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিধায়ক ও সভাধিপতি তাঁর কাছে যান। সঙ্গে ছিলেন রোগীর পরিবারের লোকজনও।
ওইদিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন আচমকা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে তাঁকে কলার ধরে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। যদিও অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তৃণমূল বিধায়ক এবং আশপাশে থাকা কয়েকজন পুলিশকর্মী ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিগ্রহের ঘটনায় বহরমপুর থানার পুলিশ তৎপরতা শুরু করে ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজত হয়।