এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাজেয়াপ্ত টাকা শ্রমিকদের বেতনের টাকা, দাবি জাকিরের

নিজস্ব প্রতিনিধি: আয়কর দফতরের হানাদারি(IT Raid) ও ১৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় এবার মুখ খুললেন মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার জঙ্গিপুর(Jangipur) বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তথা শিল্পপতি এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন(Jakir Hossain)। সাফ জানালেন, যে টাকা আয়কর দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে তা ৭ হাজার শ্রমিকের বেতনের টাকা। একই সঙ্গে যে টাকা তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন তা তাঁর একার টাকা নয়। তাঁরা বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে যার বড় অংশই তাঁর স্ত্রীর টাকা। এর বাইরে কারখানা, গুদাম, চালকল, তেলকল, জুটমিল, ম্যানেজারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তা তাঁর ব্যবসার সঙ্গে যারা অংশিদারি রয়েছেন তাঁদের টাকা। সেই টাকার হিসাব তাঁরাই দিতে পারবেন। কার্যত তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট করার অভিপ্রায় নিয়ে এবং তৃণমূলের(TMC) সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েই গেরুয়া শিবিরের অঙ্গুলিহেলনে এই আয়কর হানা চালানো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন জাকির হোসেন।

আরও পড়ুন জাকিরের ডেরা থেকে উদ্ধার ১৫ কোটি টাকা

উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে জাকিরের বাড়ি ঘিরে ধরে অভিযান শুরু করেন। শুধু তাঁর বাড়িই নয়, হানা দেওয়া হয় তাঁর একাধিক বিড়ি কারখানা, জুট মিল ও গুদামে। সব জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আয়কর দফতরের আধিকারিকদের দাবি, জাকিরের গুদাম, কারখানা, তেলকল, চালকল থেকে নগদ ১১ কোটি টাকা ও বাড়ি থেকে নগদ ৪ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে যার উৎস সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি জাকির হোসেন। এই ১৫ কোটি টাকাই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। সেই ঘটনার পরেই মুখ খুলেছেন জাকির। তিনি এদিন সাফ জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে যা দেখানো হচ্ছে বা বলা হচ্ছে তার সব ঠিক নয়। তাঁর বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে আয়কর দফতর কোনও বেআইনি অর্থই পায়নি। শুধু তাই নয়, এই ২৪ ঘন্টায় তিনি আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন।

আরও পড়ুন 100 Crores, গেল কার কাছে, প্রশ্ন ঘোরে নিয়োগ কাণ্ডে

জাকির এটাও জানিয়েছেন, আয়কর দফতরের একাধিক আধিকারিক রাত প্রায় সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তাঁর মালিকানাধীন শিব রাইস মিলে অভিযান চালিয়েছে। যে টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার মধ্যে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ দেড় কোটি টাকা এবং তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ প্রায় ৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধার হয়েছে তেলকল, চালকল, গুদাম ও তাঁর ম্যানেজারের বাড়ি থেকে। এর মধ্যেই এক টাকাও বেআইনি নয়। পাশাপাশি জাকির এটাও জানিয়েছেন, ‘আমার কাছে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কাজ করে। আমার বিভিন্ন রকমের ব্যবসাও রয়েছে। কৃষিক্ষেত্রের যে ব্যবসার সঙ্গেও আমি জড়িত সেখানে সমস্ত লেনদেন নগদে হয়। এর পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতনও নগদে দিতে হয়। সেকারণেই রাইস মিলে কিছু নগদ টাকা রাখা ছিল। ওই টাকার একটা অংশ যারা ধান বিক্রি করেছিল তাদেরও প্রাপ্য। আমার বাড়ি থেকে যত টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে তার অনেকটাই মহিলাদের জমানো টাকা। এর পাশাপাশি নিরাপত্তার কারণে শ্রমিকদের বেতনের কিছু টাকাও আমার বাড়িতে রাখা ছিল। আয়কর দফতরের আধিকারিকদেরকে সমস্ত কাগজপত্র দেখালেও তাঁরা আমার দাবির সত্যতা মানতে চাননি এবং কিছু টাকা সিজ করছেন।’ উল্লেখ্য বিড়ি, চাষ ও চালকলে যারা কাজ করেন তাঁদের বেতন দেওয়া হয় দৈনিক হিসাবে বা সাপ্তাহিক হিসাবে। ওই ২-৩টি ক্ষেত্রে মাসিক বেতনের রেওয়াজ বাংলার প্রায় কোথাও নেই। কারণ এই শ্রমিকেরা যেমন অসংগঠিত তেমনি ঠিকা শ্রমিক হিসাবেই কাজ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এখন পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী জাকিরের দাবিই সঠিক? গেরুয়া শিবিরের অঙ্গুলিহেলনেই এই আয়কর অভিযান!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘মোদি জিতলে দেশে আর গণতন্ত্র থাকবে না’, আশঙ্কা প্রকাশ মমতার

দই বা ঘুগনি নয়, সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে নতুন ধরনের জলখাবার খেলেন রচনা

সিপিএমের উত্তরীয় পড়ে সেলিমের মনোনয়নে সামিল অধীর

প্রচারে গিয়ে মঞ্চ ভেঙে বিপাকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব

‘মুর্শিদাবাদের ঘটনা আমি যদি বলি পরিকল্পিত’, বিজেপিকে নিশানা মমতার

নির্বাচনের দিন দিনহাটার বাইরে যেতে পারবেন না উদয়ন গুহ, নির্দেশ কমিশনের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর